আমি কীভাবে নিজেকে অনুপ্রাণিত করতে পারি?
মোটিভেশন এবং অনুপ্রেরণা দুইটাই সস্তা দরের জিনিস। কি অবাক হচ্ছেন?
ইউটিউব ঘাটলে সহস্রাধিক মোটিভেশনাল ভিডিও পাবেন। সেগুলো দেখলে আপনার অনুপ্রেরণা জন্মাবে। তবে সেটা নিতান্তই ক্ষণস্থায়ী। যখন অনুরূপ কোনো বই পড়বেন বা ভিডিও দেখবেন তখন মনে মনে ভাববেন এবার পৃথিবী উল্টে দিব। দিন শেষে দেখা যাবে আপনি নিজেই উল্টে পড়ে আছেন।
যে ছেলেটা আজ মোটা একটা ফাইল বগলে করে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে একটা চাকরির প্রত্যাশায়, দিন শেষে ক্লান্ত শরীরে বিছানায় শরীরটাকে ছেড়ে দিয়ে পরিবারের পযুর্দস্ত পরিস্থিতি নিয়ে ভাবছে তাকে গিয়ে জিজ্ঞেস করুন মোটিভেশন কাকে বলে।
‘আজ অনুপ্রেরিত হব, কাল কাজ শুরু করব ‘ এমন ঘোরপ্যাঁচে ঘুরতে ঘুরতে আপনি আপনার নিজের পরিচয় ভুলে যাবেন।
বর্তমান সময়ের আলোচিত সমালোচিত সমস্যার টপ 1 হলো ‘ডিপ্রেশন’। ডিপ্রেশনের মূল কারণ হলো কাজ না করা।
এই আমার কথায় ধরুন বেশ কয়েকমাস আগে ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে পড়াশোনা সিকেই ওঠে। ভাবি আজ না কাল থেকে শুরু করব। এই কাল কাল করতে করতে নিজের কাছে নিজের সময় নেয়ার পরিমাণ বাড়তে থাকে। তখন ‘কাল’ কে ছেড়ে দিয়ে ভাবি অমুক মাসে আমার জন্মদিন সেদিন থেকে পড়াশোনা শুরু করব।
আমার কাজ ছিল পড়াশোনা করা, সেই কাজটা না করার দরুন ডিপ্রেশন তৈরি হয়। ডিপ্রশন কাটানোর জন্য অনুপ্রেরণা পাওয়ার জন্য মোটিভেশনাল বই, কন্টেন্ট দেখতে থাকি। কিন্তু এসব এ ফল হলো ফুলফিল আন্ডা।
ভাই শুনেন একটা কথা বলি, আপনার মনে কি একবারও প্রশ্ন জাগেনি? যে, পৃথিবীতে যারা সফল হয়েছেন তারা সবসময় অনুপ্রেরণা কিভাবে ধরে রাখে?
তাদের সাফল্যের সহজ পথটা বাতলে দিই। আসলে তারা অনুপ্রেরণা ধরে রাখে না, কাজ ধরে রাখে। অনুপ্রেরণা তাকে কোলে করে রাখলেও সে কাজ করে, অনুপ্রেরণা তাকে ফেলে দিলেও সে কাজ করে।
মূলত কাজ করার মাধ্যমেই মানুষের মাঝে অনুপ্রেরণা তৈরি হয় আরো সাফল্য অর্জনের। অনুপ্রেরণা পেয়ে কাজ করার মাধ্যমে নয়।
যারা পড়াশোনা না করে অনুপ্রেরণা খুঁজছেন তাদের বলব সকল প্রকার ইলেকট্রনিক ডিভাইস ঘরের বাইরে ফেলে ঘরে ঢুকে দরজায় তালা লাগিয়ে চাবিটা গিলে ফেলুন। ১৫-২১ দিন ঘর থেকে বেরোবেন না। পড়ুন আর না পড়ুন বই নিয়ে বসে থাকুন।
২১ দিন পর আপনার বর্তমান আপনাকে পূর্বের আপনার সাথে মিলিয়ে নিন। আপনি নিজেই নিজের প্রতি ঈর্ষান্বিত হবেন।
মনে রাখবেন Life Is Not A Bed Of Roses.
আজ যদি আপনি শুয়ে বসে কাটান ভবিষ্যতে কষ্ট করতে হবে। পক্ষান্তরে এখন একটু কষ্ট করলে ভবিষ্যতে সুখকর জীবন উপভোগ করতে পারবেন।
ভাই জীবনের কোনো এক পার্টে আপনকে ঠিকই কষ্ট করতে হচ্ছে।
তাহলে আর ডিপ্রেশন কেন? চলুন আজই সব ঝেড়ে মুছে ফেলে এখনই শুরু করি যুদ্ধ জয়ের যাত্রা।