আমি কীভাবে নিজের কোমলতা পরিহার করতে পারি?
আমি কীভাবে নিজের কোমলতা পরিহার করতে পারি?
-কখনোই কারো কাছে নিজেকে পুরোপুরি ভাবে প্রকাশ করতে নেই। কেননা মানুষ জানার আগ্রহ নিয়েই কাছে আসে;সবটা জেনে ফেললেই আগ্রহ কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে! —-নিজের ভালো থাকার দায়িত্বটা সবসময় নিজেকেই নিতে হয়। কেননা আয়োজন করে সবাই মন খারাপ করার বন্দোবস্ত করতে পারে তবে দায়িত্ব নিয়ে কেউ মন ভালো করার চেষ্টা করে না কখনোই। —-জীবনে প্রিয়জনের প্রয়োজনীয়তাটা কমিয়ে আনার চেষ্টা করা উচিত। কেননা প্রিয়জন বলে কিছু হয় না,সবই সময়ের প্রয়োজন মাত্র। —- কারো প্রতি নির্ভরশীলতা পরিহার করার চেষ্টা করা উচিত,কেননা গাছের মূল্য থাকলেও;আগাছার কোনো মূল্য হয় না। —-ভালো থাকার অভিনয় করার চেয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করাটা উত্তম। কেননা মুখোশের বাইরের আমিত্বটাকে সবাই দেখে, ভেতরেরটাকে কেউ দেখে না,দেখার চেষ্টাও করে না কখনো। —-কাউকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করতে নেই, কেননা বিশ্বাসী ব্যক্তিরাই বিশ্বাসঘাতকতা করে। অবিশ্বাসীরা ঘাতকতা করলে সেটা হতো অবিশ্বাসঘাতকতা,আর অবিশ্বাসঘাতকতা বলে কিছু হয় না। —-জোড় করে কোনো কিছু আদায় করতে যেতে নেই,আর তা হোক ভালবাসা কিংবা অধিকার। কারণ জোড় করে এসব আদায় করতে গেলে দিন শেষে আপনাকেই হেরে যেতে হবে। যে আপনাকে ভালবাসবে সে এমনিতেই আপনার পছন্দ-অপছন্দ,চাওয়া-পাওয়া,ইচ্ছে-আকাঙ্খা,কষ্টকে গুরুত্ব দিবে। —-কারও খারাপ সময়ে যাকে সঙ্গ দিবেন,আগলে রাখবেন,যত্ন নিবেন, তার ভালো সময় আসলে আপনার এক বিন্দু পরিমান মূল্য তার কাছে থাকবে না। —-জীবনে কী হয়েছে সেটা না ভেবে, কী হতে পারে বা কী হওয়ার আছে সেটা নিয়ে ভাবাটা উত্তম। কেননা আপনি হাজার চেষ্টা করেও অতীতটা পাল্টাতে পারবেন না কখনোই, কিন্তু একটু চেষ্টাতে আপনার ভবিষ্যতটা অন্যরকম হতে পারে। —-সবসময় নিজেকে সুখী মনে করার চেষ্টা করা উচিত। কেননা সুখ একপ্রকার অসুখের নাম,যার প্রতিকারের কোনো ওষুধ হয় না। তাই প্রতিকার অপেক্ষা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করাটাই উত্তম। —- বাস্তবতাকে সবসময় বিরোধী দল ভাবা উচিত। কেননা বাস্তবতা সবসময় আপনাকে বিপদে ফেলতে চাইবে। এখন আপনি কীভাবে তার মোকাবেলা করবেন সেটা একান্তই আপনার উপর নির্ভর করছে। —-পরিস্থিতি সবসময় নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করা উচিত। আর যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তবে যেটাই ঘটুক তা মেনে নেওয়ার মন-মানসিকতা তৈরী করতে হবে। কেননা মানিয়ে নেওয়া, আর মেনে নেওয়া জিনিস দুটো জীবনে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর আপনি যদি এই দুটোর কোনোটাই না পারেন, তবে জীবন আপনাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বুঝিয়ে দেবে You are a looser. —- যে কথাগুলো আপনাকে অনুপ্রাণিত করে, সেই কথাগুলো এক কান দিয়ে ঢুকিয়ে অন্য কান দিয়ে বের করে না দিয়ে মস্তিষ্কে ধারণ করে তার প্রয়োগ ঘটানোর চেষ্টা করা উচিত। কেননা প্রয়োগ না ঘটিয়ে কখনো তার সত্যতা যাচাই করা যায় না। —-ভাঙ্গা কাঁচ কখনোই জোড়া লাগানোর চেষ্টা করতে নেই। কেননা ভাঙ্গা কাঁচ জোড়া লাগাতে গেলে,নিজেরই হাত কেটে ক্ষত বিক্ষত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই ভাঙ্গা কাঁচ জোড়া লাগানোর বৃথা চেষ্টা না করে, ফেলে দেয়াই উত্তম(ভাঙ্গা কাঁচ আর ভেঙ্গে যাওয়া সম্পর্ক একই অর্থে ব্যবহৃত)।