আমি কীভাবে মন এবং মস্তিষ্কের মধ্যে পার্থক্য করব?
আমি কীভাবে মন এবং মস্তিষ্কের মধ্যে পার্থক্য করব?
ব্রেইন‘ই যে আমাদের দুঃখ-কষ্ট, আনন্দ, বেদনা, বেথা‘র সরাসরি অনুভূতি যোগায় এটা কার্যত ও যৌক্তিকভাবে সঠিক নয়।
আপনার হাতে মশা কামড়ালে আপনি চুলকাবেন কোথায়? হাতেই চুলকাবেন, মাথায় বা মস্তিষ্কে তো না! এক্ষেত্রে মশা কামড়ালে প্রথমে তার একটি সিগন্যাল আমাদের ব্রেইনে চলে যায়, তারপর ব্রেইন প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে আবার সেই আক্রান্ত স্থানেই সিগন্যাল ফিরিয়ে দেওয়ায় আমাদের ব্যাথা অনুভূত হয়। অর্থাৎ ব্রেইন এখানে প্রক্রিয়াকরণের কাজটি করেছে কিন্তু ব্যাথার অনুভূতি হাতেই হয়েছে।
CPU তে কোনোকিছু ইনপুট দিলে বা কন্ট্রোল করলে যেমন তার প্রতিক্রিয়া আউটপুট আকারে মনিটরে প্রদর্শিত হয়। ঠিক তেমনই প্রকৃতি-পরিবেশ থেকে কোনো ইতিবাচক বা নেতিবাচক সাড়া ইনপুট আকারে আমাদের ব্রেইনে ধারণ করলে তা অউটপু আকারে আমাদের হার্টে প্রভাব ফেলে, যার ফলে আমরা বাস্তবে বুকে/হার্টে/হৃদয়ে বা মনে দুঃখ-কষ্ট, আনন্দ, বেদনা‘র অনুভূতি পেয়ে থাকি। (এক্ষেত্রে আমাদের ব্রেইন CPU এর কাজ করে আর হার্ট Monitor এর কাজ করে।)
আবার, ব্যাটারির মাধ্যমে যখন কোনো লাইট জ্বলানো হয় তখন ব্যাটারি শক্তি দেয় আর লাইট আলো দেয়। অর্থাৎ শুধুমাত্র ব্যাটারি দিয়ে যেমন আলো জ্বলানো সম্ভব নয়, তেমনই বাল্বও শক্তি ছাড়া আলো দিতে পারে না। সুতরাং, দুটি বস্তুই এখানে আলাদা এবং তাদের কাজও সম্পূর্ণ ভিন্ন।
অতএব, দুঃখ-কষ্ট, আনন্দ, বেদনার অনুভূতি মস্তিষ্ক নয় হার্টের মাধ্যমেই প্রকাশিত হয়।