আমি বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি করি। আমার দীর্ঘদিনের ইচ্ছা চাকরির পর ব্যবসা করবো।এটা কি সম্ভব?
আমি বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি করি। আমার দীর্ঘদিনের ইচ্ছা র পর ব্যবসা করবো।এটা কি সম্ভব?
অধিকাংশ চাকরিজীবী এই ভুলটা করেন। এ কারণে তাদের পেনশনের টাকা তারা ভোগ করতে পারেন না। কারণ যখন পেনশনের টাকা বা গ্রাচুয়িটির টাকা পান-এই ১০, ১৫ বা ২০ লাখ টাকা তারা কোনো আংকেল, ভাতিজা বা ছেলের বন্ধুর সাথে ব্যবসায় খাটান এবং এই টাকাটা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। যত রিটায়ার্ড অফিসার বিনিয়োগ করেছেন, এর ৯৯ ভাগই তাদের বিনিয়োগ ফেরত পান নি।
কিছু পুঁজি নিয়ে যেকোনো একটা কিছু শুরু করে দিলেই সেটা ব্যবসা হয় না। ব্যবসায় সফলতা পেতে হলে ব্যবসা বুঝতে হয়, অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। প্রতিটি ব্যবসার যে নিজস্ব সাফল্যের গোপন রহস্য আছে, সেটা জানতে হয়। ধরুন, আপনি একটি সফটওয়্যার ফার্ম খুললেন। আপনি যদি এ সম্পর্কে না জানেন, ইঞ্জিনিয়ার হয়তো তিন মিনিটের কাজকে বলবে-এটা অনেক কঠিন কাজ, জটিল কাজ, তিন মাস লাগবে। আপনি যেহেতু জানেন না এটা তিন মাস লাগবে না তিন মিনিট লাগবে, আপনার তাকে বিশ্বাস করা ছাড়া উপায় থাকবে না। আপনার ব্যবসায় লস হবে।
সারাজীবন চাকরির পর ব্যবসা করাটা আপনার পক্ষে সহজ নয়। এই টাকা ব্যবসায় না খাটিয়ে ব্যাংকে রেখে দিলেই তো আপনার মাসের খরচের টাকা উঠে আসে। আর অবসরে না গিয়ে পুরো সময়টাই আপনি আত্মিক উন্নয়ন ও সৃষ্টির সেবায় ফাউন্ডেশনে কোয়ান্টিয়ার হিসেবে আত্মনিয়োগ করতে পারেন। এতে আপনি একদিকে যেমন সুস্থ থাকবেন, অন্যদিকে আপনার পারলৌকিক মুক্তির পথও প্রশস্ত হবে।