আসলেই কি রোজা রাখার ফলে স্বাস্থ্যের এমন কোনো সমস্যা হয়?
রমজানে রোজা রাখার ফলে অনেকেই বলে স্বাস্থ্যে সমস্যা হয়,আসলেই কি রোজা রাখার ফলে স্বাস্থ্যের এমন কোনো সমস্যা হয়?
আল্লাহ তায়ালা বলেন, “রোজা আমার জন্য, আমি নিজে রোজার প্রতিদান দেব।” সব ইবাদতই তো আল্লাহর জন্যই। তাহলে রোজাকে আল্লাহ কেন বললেন ‘আমার জন্য।’ আসলে সব ইবাদত করার পাশাপাশি তা প্রদর্শনের সুযোগ ও মনোভাব থাকে, যেমন নামাজ, হজ্জ, যাকাত ইত্যাদি। কিন্তু রোজা আল্লাহ এবং বান্দা ছাড়া প্রদর্শনের বা জাহির করার কোন সুযোগই থাকে না। আল্লাহর প্রতি বান্দার আনুগত্যই আমাদের জাগতিক ও পারলৌকিক কল্যাণের মূল নিয়ামক। মাহে রমজানের সিয়াম সাধনার মাধ্যমে রোজাদারের জন্য রয়েছে দৈহিক ও মানসিক উত্কর্স সাধন, আত্মিক ও নৈতিক অবস্থার উন্নতিসহ অশেষ কল্যাণ ও উপকার লাভ করার সুযোগ। রোজা পালনে যে আনন্দ, অনুভূতি, আত্মিক পরিতৃপ্তি এর সাথে সংযম, কুপ্রবৃত্তি দমন, লোভ-লালসা, হিংসা, প্রতিহিংসা ইত্যাদি ত্যাগ করার যে আলোকোজ্জল আমেজ-অনুভূতির চর্চা হয় তা রমজানের রোজা ছাড়া অন্য কোনভাবে লাভ করা যায় না। রোজা রাখার উদ্দেশ্য শরীরকে দুর্বল করে অর্কমন্য করা নয়, বরং শরীরকে সামান্য কিছু কষ্ট দিয়ে দৈহিক ও আত্মীক উত্কর্ষ সাধন। শুধু তাই নয়, অনেক রোগের বেলায় রোজার ক্ষতি না হয়ে বরং বহু রোগব্যাধির প্রতিরোধক এবং আরোগ্যমূলক চিকিত্সা লাভে সহায়ক হয়। রোজা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের কেষত্রে রোগীদের জন্য এক সুবর্ন ও রহমত স্বরুপ। ডায়াবেটিক রোগরাি সঠিক নিয়মে রোজা রাখলে নানা রকম উপকার পেতে পারেন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের মূল উপায় হল খাদ্য নিয়ন্ত্রণ, আর রোজা রাখা হতে পারে এক অন্যতম উপায়। এতে সহজেই খাদ্য নিয়ন্ত্রণ সহজ ও সুন্দরভাবে করা যায়। যারা ইনসুলিনের উপর নির্ভরশীল নন, তাদের ক্ষেত্রে রোজা রাখা হতে পারে আদর্শ চিকিত্সা ব্যবস্থা। যাদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি, রোজা তাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়ক করে। রোজার মাধ্যমে ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ হওয়ার ফলে যারা হূদরোগে অথবা উচ্চ রক্তচাপে ভুগেন তাদের জন্য রোজা অত্যন্ত উপকারী। রোজায় নিয়ন্ত্রিত খাওয়া দাওয়ার ফলে এসিডের মাত্রা কমে যায়। তাই সঠিক খাবার দিয়ে সেহেরী ও ইফতার করলে রোজা বরং আলসারের উপশম করে, অনেক সময় আলসার ভাল হয়ে যায়। এছাড়া রোজা গ্যাস্ট্রিইটিস, আইবিএস ইত্যাদি রোগেও উপকারী। শ্বাসকষ্ট ও এজমা রোগী
যারা এই সমস্ত রোগে ভোগেন, তাদেরও রোজা রাখতে কোন অসুবিধা নেই। আর যারা রোজা রাখেনা, তাদের আছে রোজা না রাখার পেট বানানো হাজারো যুক্তি।