ইউকে বা যুক্তরাজ্যের ইমিগ্রেশন পেতে হলে কী করতে হবে?

ইউকে বা যুক্তরাজ্যের ইমিগ্রেশন পেতে হলে কী করতে হবে?

Train Asked on April 25, 2015 in ভ্রমণ.
Add Comment
1 Answer(s)

    যুক্তরাজ্যে ইমিগ্রেশনের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি বেশ কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়।

    যুক্তরাজ্যের ইমিগ্রেশনের শর্তাবলী

    যুক্তরাজ্যের ইমিগ্রেশনের জন্য যেসব শর্ত পূরণ করতে হয় তা হলো :

    ক) ইমিগ্রেশনে অগ্রাধিকার ভিত্তিক পেশা হলো বিজনেস স্টাডিজ, হোটেল ম্যানেজমেন্ট, আর্কিটেক্ট, ডেন্টিস্ট, ফার্মাসিস্ট, নার্স, সোশ্যাল ওয়ার্কার এবং শেফ।

    খ) যোগ্যতার ক্ষেত্রে বয়স, শিক্ষাগত যোগ্যতা, ভাষার দখল, চাকুরীর অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে মোট ১০৫ পয়েন্ট অর্জনের ব্যবস্থা রয়েছে। অন্তত ৪৮ পয়েন্ট হলে ভিসার জন্য আবেদন করা যায়।

    গ) যোগ্যতার প্রাপ্য পয়েন্টগুলো নিম্নরুপ

    – ব্যাচেলর ডিগ্রীর জন্য ৩০ পয়েন্ট, মাস্টার্স ডিগ্রীর জন্য ৩৫ পয়েন্ট, পিএইচডির জন্য ৫০ পয়েন্ট।

    – ল্যাংগুয়েজের পয়েন্ট ২৫, তবে আইইএলটিএস- এ ৬.৫ না পেলে এই পয়েন্ট বিবেচনা করা হয় না।

    – সর্বনিম্ন বয়স ২৮ এর জন্য ২০ পয়েন্ট; বয়স ২৮ – ২৯ এর জন্য ১০ পয়েন্ট, ৩০ – ৩১ এর জন্য ৫ পয়েন্ট।

    – স্টুডেন্টরা যে কলেজে পড়তে যাবে সেখান থেকে অফার লেটার আসলে সেক্ষেত্রে ৩০ পয়েন্ট পাওয়া যায়।

    – ব্যাংক সলভেন্সীর জন্য ১০ পয়েন্ট অর্জন করা যায়।

    ঘ) আবেদনকারীর ইংরেজী ভাষায় ভাল দক্ষতা থাকতে হবে। এতে আইএলটিএস এ পেশাজীবির ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন স্কোর ৬.৫ এবং স্টুডেন্টের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৪.৫ স্কোর থাকতে হবে।

    ঙ) ঢাকাস্থ যুক্তরাজ্য দূতাবাসে ভিসার ইন্টারভিউ হয়ে থাকে।

    চ) সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ করে ভিসা পেতে ১২ মাস থেকে ২৪ মাস সময় লেগে যায়। তবে স্টুডেন্ট ভিসা পেতে ২ মাস থেকে ৩ মাস পর্যন্ত সময় লাগে।

    ছ) কোন কারণে ভিসা আবেদন রিফিউজ হলে আপিল করার সুযোগ রয়েছে। একজন আইনজীবির মাধ্যমে পুনরায় আবেদন করা যায়।

    জ) যুক্তরাজ্যে পরিবারসহ ইমিগ্রেশন করতে হলে একজনকে প্রধান মাইগ্রেট করতে হয়। প্রধান মাইগ্রেটের ব্যাংক একাউন্টে ৬০,০০,০০০ (ষাট লক্ষ) টাকা জমা দেখাতে হয়।

    ভিসা সংগ্রহে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

    ভিসা আবেদনের জন্য যে সব কাগজপত্র জমা দিতে হয় সেগুলো হল :

    – একাডেমিক সার্টিফিকেট

    – ৫ বৎসরের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট

    – ৪ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি

    – ম্যারেজ সার্টিফিকেট (বিবাহিত হলে)

    – পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট

    – পাসপোর্টের প্রথম ৬ পৃষ্ঠার ফটোকপি

    – জন্ম সনদ পত্র

    – মেডিকেল সার্টিফিকেট

    – ফাইন্যান্সিয়াল স্টেটমেন্ট

    – ইনকাম ট্যাক্স স্টেটমেন্ট (পেশাজীবীর ক্ষেত্রে)

    এছাড়া আপনি চাইলে ব্রিটিশ হাইকমিশনে সরাসরি গিয়েও যোগাযোগ করতে পারেন। ব্রিটিশ হাইকমিশন অফিসে ব্রিটিশ পাসপোর্ট সেকশন সপ্তাহের রবিবার থেকে বুধবার সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

    দূতাবাসের ঠিকানা

    ব্রিটিশ হাইকমিশন, ইউনাইটেড নেশনস রোড, বারিধারা, ঢাকা-১২১২।
    ফোন: ৮৮২২৭০৫, ৯৯২২৭০৯
    ফ্যাক্স: ৮৮২৩৪৩৭
    ওয়েবসাইট: www.ukinbangladesh.fco.gov.uk

    Professor Answered on April 25, 2015.
    Add Comment
  • RELATED QUESTIONS

  • POPULAR QUESTIONS

  • LATEST QUESTIONS

  • Your Answer

    By posting your answer, you agree to the privacy policy and terms of service.