ইসলামে খতম তারাবীহ কি বৈধ?
ইসলামে খতম তারাবীহ কি বৈধ?
ইসলাম এ খতম তারাবীহ বৈধ্য কিন্তু তার বিনিময়ে হফেজ দেরকে হাদিয়া বা বেতন দেওয়া নাজায়েয কারন কুরআন তেলাওয়াত,
বিশেষত যখন তা নামাযে পড়া হয়,
একটি খালেস ইবাদত, যা একমাত্র
আল্লাহ তাআলার সন’ষ্টির জন্যই
হওয়া চাই। তাতে কোনো দুনিয়াবী
উদ্দেশ্য শামিল করা গুনাহ। নিচে এ
বিষয়ে কিছু হাদীস, আছারের অনুবাদ
ও ফিকহের উদ্ধৃতি পেশ করা হল।
১. হযরত আবদুর রহমান ইবনে শিবল রা.
থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে,
তোমরা কুরআন পড় তবে তাতে
বাড়াবাড়ি করো না এবং তার প্রতি
বিরূপ হয়ো না। কুরআনের বিনিময়
ভক্ষণ করো না এবং এর দ্বারা সম্পদ
কামনা করো না।’-মুসনাদে আহমদ
৩/৪২৮; মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা
৫/২৪০; কিতাবুত তারাবীহ
২. ‘ইমরান ইবনে হোসাইন রা. থেকে
বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে,
তোমরা কুরআন পড় এবং আল্লাহ
তাআলার কাছে প্রার্থনা কর।
তোমাদের পরে এমন জাতি আসবে,
যারা কুরআন পড়ে মানুষের কাছে
প্রার্থনা করবে।’-মুসনাদে আহমদ
৪/৪৩৭; জামে তিরমিযী ২/১১৯
৩. ‘হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মা’কিল রা.
থেকে বর্ণিত, তিনি এক রমযান মাসে
লোকদের নিয়ে তারাবীহ পড়লেন।
এরপর ঈদের দিন উবাইদুল্লাহ ইবনে
যিয়াদ রাহ. তাঁর কাছে এক জোড়া
কাপড় এবং পাঁচশ দিরহাম পাঠালেন।
তখন তিনি কাপড় জোড়া ও
দিরহামগুলো এই বলে ফেরত দিলেন
যে, আমরা কুরআনের বিনিময় গ্রহণ
করি না।’-মুসান্নাফ ইবনে আবী
শায়বা ৫/২৩৭