ঈদের দিনে করণীয় কি?
খুব ভোরে ঘুম থেকে জেগে মিসওয়াকসহ অজু করে ফজরের নামাজ নিজ মহল্লার মসজিদে আদায় করা। ভালোভাবে গোসল করা। সাধ্যমতো উত্তম (পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন) পোশাক পরিধান করা। সুগন্ধি ব্যবহার করা। সদকাতুল ফিতর আদায় করা। ঈদের জামাতে যাওয়ার আগে কিছু খেজুর বা মিষ্টিদ্রব্য খাওয়া। সামর্থ্য অনুযায়ী উত্তম খাবারের ব্যবস্থা করা। অধিক পরিমাণে দান-সদকা করা। এতিম, মিসকিন ও গরিবদের সাধ্যমতো পানাহার করানো। দেরি না করে, হেঁটে অনুচ্চস্বরে তাকবিরে তাশরিক বলতে বলতে ঈদগাহে যাওয়া। ইমাম মিম্বরে বসলে তাকবিরে তাশরিক বন্ধ করে তাঁর আলোচনা শোনা। চেহারায় আনন্দ প্রকাশ করা। ঈদগাহে এক রাস্তা দিয়ে যাওয়া, অন্য রাস্তা দিয়ে ফেরা। দোয়া ও ইস্তিগফার করা। আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীর খোঁজখবর নেওয়া। শুভেচ্ছা বিনিময় করা। জীবন চলার পথে কারো সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটতেই পারে। অন্যকে ক্ষমা করে সেই সম্পর্কের দূরত্ব ঘোচানোর এক সুযোগও এনে দেয় ঈদ। পবিত্র কোরআনুল কারিমের সুরা আলে ইমরানের ১৩৩ নম্বর আয়াতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যারা নিজেদের রাগকে সংবরণ করে এবং মানুষের প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করে, তাদের জন্য ক্ষমা ও আকাশ ও জমিন সমান জান্নাতের পুরস্কারের ঘোষণা করেছেন।
বৈধ ও নির্দোষ আনন্দ-ফুর্তি, শরীরচর্চামূলক খেলাধুলা, নৈতিক মূল্যবোধ ও ইমানি ব্যঞ্জনাসমৃদ্ধ শিল্প-সংগীত- এগুলোও ঈদের দিনের বৈধ আনুষ্ঠানিকতার বাইরে নয়। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ঈদের দিন হাবশিরা খেলা করছিল। রাসুলুল্লাহ (সা.) ক্রীড়ারত হাবশিদের উৎসাহ দিয়ে বলেছিলেন- ‘ছেলেরা, খেলে যাও! ইহুদিরা জানুক যে আমাদের দ্বীনের প্রশস্ততা আছে। আমাকে প্রশস্ত দ্বীনে হানিফসহ প্রেরণ করা হয়েছে।’ (বুখারি : ১/১৭৩; মুসলিম : ২/৬০৮) ঈদ আনন্দে অপসংস্কৃতির অনুপ্রবেশ ঠেকাতে শরীরচর্চামূলক নির্মল বিনোদনের ব্যবস্থার বিকল্প নেই।