ঈদের দিনে কোন কাজগুলো বর্জনীয় ?
ঈদের দিনে কোন কাজগুলো বর্জনীয় ?
ঈদের দিন রোজা রাখা হারাম। হজরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) দুদিন রোজা রাখতে নিষেধ করেছেন। সে দুদিন হলো- রোজা শেষে (এক মাস রোজার পর) ঈদুল ফিতরের দিন এবং ঈদুল আজহার দিন। (বুখারি : ২/৭০২) হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিনে রোজা রাখতে নিষেধ করেছেন। (বুখারি : ২/৭০২)। ঈদের জামাতের আগে নেই কোনো নফল নামাজ। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) হজরত বেলাল (রা.)-কে সঙ্গে নিয়ে ঈদুল ফিতরের দিন বের হয়ে দুই রাকাত সালাত আদায় করেন। তিনি এর আগে ও পরে কোনো নামাজ আদায় করেননি। (বুখারি : ১/৩৩৫)
আমাদের সমাজের ঈদ উদ্যাপনকে যদি রাসুলুল্লাহ (সা.) ও সাহাবায়ে কেরাম (রা.)-এর ঈদ উদ্যাপনের সঙ্গে মিলাই, তাহলে অবশ্যই বলতে হবে, এই ঈদ ইসলামের ঈদ নয়; বরং আমরা বিজাতীয় সংস্কৃতির আদলে ঈদ উদ্যাপন করছি। ঈদগাহে নামাজে অংশগ্রহণ পর্যন্তই আমাদের ইসলামী ঈদ সীমাবদ্ধ। সারা দিন টেলিভিশনে অশ্লীল সিনেমা ও নাটক দেখা, কনসার্টের নামে বেহায়াপনা, মহিলাদের সেজেগুজে সৌন্দর্য প্রদর্শনের যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়, তা নিশ্চয়ই ইসলামী সংস্কৃতি নয়; বরং বিজাতীয় সংস্কৃতি। বিজাতীয় সংস্কৃতি অনুসরণকারীদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি অন্য জাতির সঙ্গে সাদৃশ্য রাখবে, সে তাদের দলভুক্ত (জাহান্নামি) হবে।’ (আবু দাউদ : ৪/৭৮) তাই ঈদে সব বিজাতীয় সংস্কৃতি বর্জন করতে হবে।শুধু ঈদই নয়, জীবনের বাঁকে বাঁকে ইসলামই হোক আমাদের পথ চলার সঙ্গী। চালচলন, পোশাক-পরিচ্ছদ এবং শুভেচ্ছা বিনিময়ও হোক ইসলামী সংস্কৃতি অনুসারেই। মুসলিম উম্মাহর ঘরে ঘরে শাওয়ালের এক ফালি চাঁদ নিয়ে আসুক আনন্দের বারতা।