ঈদের নামাযের বিধান কি?

ঈদের নামাযের বিধান কি?

Add Comment
1 Answer(s)

    আমি মনে করি ঈদের নামায ফরযে আঈন তথা প্রত্যেক ব্যক্তির উপর ফরয। কোন পুরুষের জন্য এ নামায পরিত্যাগ করা জায়েয নয়। কেননা নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর নির্দেশ প্রদান করেছেন। বরং কুমারী পর্দানশীন নারীদেরকেও এ নামাযে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন; এমনকি ঋতুবতী নারীদেরকেও অনুরূপ নির্দেশ প্রদান করেছেন। তবে ঋতুবতী ছালাত আদায় করবেনা। এ দ্বারা এ নামাযের অতিরিক্ত গুরুত্ব বুঝা যায়। এটাই প্রাধান্যযোগ্য মত এবং শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়াও (রহঃ) অনুরূপ মত পোষণ করেছেন।

    এ নামাযটি জুমআর নামাযের মত। কিন্তু ছুটে গেল কাযা আদায় করা যাবে না। কেননা কাযা আদায় করার পক্ষে কোন দলীল নেই। এর পরিবর্তে অন্য কোন নামাযও আদায় করবে না। অবশ্য জুমআর নামায ছুটে গেলে তার পরিবর্তে যোহরের ছালাত আদায় করবে। কেননা সময়টি যোহরের নামাযের সময়। কিন্তু ঈদের নামায ছুটে গেলে তার কোন কাযা নেই।

    মুসলিম ভাইদের প্রতি আমার নসীহত হচ্ছে, তারা যেন আল্লাহ্‌ তা’আলাকে ভয় করে এবং এই নামাযটিকে প্রতিষ্ঠিত করে। যাতে রয়েছে প্রভূত কল্যাণ ও আল্লাহ্‌র কাছে দু’আ, লোকদের পরস্পর দেখা-সাক্ষ্যাৎ ও প্রীতি-ভালবাসার বিনিময়। দেখবেন মানুষকে যদি কোন খেলাধুলার আসরে আহবান জানানো হয়, তবে কত দ্রুত তারা সেখানে সমবেত হয়। তাদের জন্য কি উচিত নয় মুক্তি দূত বিশ্বনবীর আহবানে সাড়া দিয়ে এই নামাযের জন্য সুবিশাল সমাবেশের আয়োজন করা? যাতে রয়েছে আল্লাহ্‌র অফুরন্ত ছওয়াব এবং মাগফিরাত। কিন্তু নারীদের উপর ওয়াজিব হচ্ছে, এ নামাযে আসতে চাইলে তারা যেন পুরুষদের সাথে সংমিশ্রিত না হয়। তারা থাকবে মসজিদ বা ঈদগাহের একপ্রানে- পুরুষদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা স্থানে। নারীরা যেন আতর-সুগন্ধি মেখে নিজের সৌন্দর্যের প্রকাশ ঘটিয়ে বেপর্দা হয়ে বের না হয়। এই কারণে নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন নারীদেরকে ঈদের নামাযের জন্য বের হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তারা প্রশ্ন করেছেন: إِحْدَانَا لَيْسَ لَهَا جِلْبَابٌ হে আল্লাহ্‌র রাসূল আমাদের তো কারো কারো চাদর নেই? তিনি বললেন, لِتُلْبِسْهَا أخْتُهَا مِنْ جِلْبَابِهَا  “তার অন্য বোন যেন নিজের চাদর তাকে পরতে দেয়।” আর পর্দার উপযুক্ত চাদর হচ্ছে বর্তমানের বোরকা। এদ্বারা প্রমাণ পাওয়া যায় যে, নারী অবশ্যই পূর্ণ পর্দা করে গৃহ থেকে বের হবে। কেননা নারীর চাদর না থাকলে সে কি করবে নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে এপ্রশ্ন করলে তিনি এরূপ বলেন নি যে, সাধ্যানুযায়ী পর্দা করে বের হবে। বরং বলেছেন, “অন্য বোন বা নারী তার চাদর তাকে পরিয়ে দিবে।” আর ঈদের নামাযের ইমামের উচিত হচ্ছে, ঈদের খুতবার সময় পুরুষদেরকে নসীহত করার সময় বিশেষভাবে নারীদেরকেও নসীহত করবেন। তাদের সাথে বিশেষিত বিধি-বিধান সমূহ বর্ণনা করবেন। যেমনটি নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) করেছিলেন। তিনি পুরুষদের নসীহত করার পর নারীদের দিকে আলাদাভাবে গিয়ে তাদেরকে ওয়াজ-নসীহত করেছেন।

    Professor Answered on July 9, 2015.
    Add Comment
  • RELATED QUESTIONS

  • POPULAR QUESTIONS

  • LATEST QUESTIONS

  • Your Answer

    By posting your answer, you agree to the privacy policy and terms of service.