এইচ.এস.সির পর কীভাবে পড়লে মেডিকেল ভর্তি পরিক্ষার জন্য ভালো হবে?
এইচ.এস.সির পর কীভাবে পড়লে মেডিকেল ভর্তি পরিক্ষার জন্য ভালো হবে?
মেডিকেল ভর্তি পরিক্ষায় যেহেতু প্রাণিবিজ্ঞান থেকেই বেশি প্রশ্ন করা হয়, তাই প্রাণিবিজ্ঞানের মূল বইয়ের সংজ্ঞা, বইয়ের সব ছক, বৈশিষ্ট্য, পার্থক্য খুবই ভালো করে আয়ত্ত করতে হবে। মানবদেহ-সম্পর্কিত খুঁটিনাটি সব তথ্য ঝালিয়ে নিতে হবে বারবার। নতুন বইয়ে যে ক্লিনিক্যাল বিষয়গুলো সংযুক্ত করা হয়েছে, সেখান থেকে প্রশ্ন আসার সম্ভাবনা রয়েছে।উদ্ভিদবিজ্ঞানের প্রশ্নগুলো হয়ে থাকে উদ্ভিদের বিভিন্নতা, অণুজীব, জৈবনিক প্রক্রিয়া, অর্থনৈতিকভাবে উপকারী উদ্ভিদ—এসব বিষয়ের ওপর। কোন বিজ্ঞানী কোন মতবাদের জন্য বিখ্যাত, কোন সূত্রটি কত সালে আবিষ্কৃত হয়েছে—এসব তথ্য নখদর্পণে থাকতে হবে। রসায়ন দ্বিতীয় পত্র থেকে প্রশ্ন সাধারণত বেশি হয়ে থাকে। কোন বিক্রিয়ার সঙ্গে কোন বিজ্ঞানীর নাম জড়িত, কোনটি উপকারী, আবিষ্কারের সাল সেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। জৈব রসায়ন, পরিবেশ রসায়ন, তড়িৎ রসায়ন, মৌলের পর্যাবৃত্ত ধর্ম, ডি ব্লক মৌল, রাসায়নিক বন্ধন ও অর্থনৈতিক রসায়নের বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে। পদার্থবিজ্ঞানে পরিচিত সূত্র এবং যেসব সূত্র ব্যবহার করে সহজে ছোট অঙ্ক কষা যায়, সেসব প্রশ্নই দেওয়া হয়। পার্থক্য, একক মান ইত্যাদি যত ছক আছে ভালোভাবে চর্চা করতে হবে। ইংরেজি অংশে বেশি নম্বর পাওয়ার জন্য Vocabulary তে ভালো হতে হবে। তাহলে Synonym-antonym নিয়ে বাড়তি কষ্ট হবে না। Right forms of verb, tense, parts of speech থেকে প্রতিবছরই প্রশ্ন করা হয়। Narration, voice, phrases and idioms, preposition নিয়ে একটু বাড়তি মনোযোগ দিতে হবে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক তথ্য, বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ঘটে যাওয়া আলোচিত ঘটনা সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখার জন্য দৈনিক পত্রিকাগুলোয় প্রতিদিন চোখ বুলিয়ে যান। এছাড়া ক্ষুদ্রতম, বৃহত্তম, প্রথম ও একমাত্র এ ধরনের বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব দিন। বিসিএস পরীক্ষার গত কয়েক বছরের প্রশ্নগুলো সমাধান করলে তা আপনার কাজে আসবে। এভাবে পড়াশোনা করতে থাকলে মেডিকেল ভর্তির জন্য ভালো হবে।