একজন মানুষকে কখন এড়িয়ে চলা উচিত?
একজন মানুষকে কখন এড়িয়ে চলা উচিত?
এক কথায়, তাদের সব সময় এড়িয়ে চলতে হবে (সেটা আত্মীয় হউক কিংবা সহকর্মী)
-যারা মনের উপর নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করে। (যেমন: তোমার স্বাস্থ্য দিন দিন খারাপ হয়ে যাচ্ছে, এমন কথা যারা বলে তাদের স্পষ্টভাবে বলতে হয় ‘আমি এ বিষয়ে আপনার কোন প্রশ্নের উত্তর দেবো না, দুঃখিত মাফ করবেন’। বারবার সুযোগ পেয়ে আমাদের চারপাশে এমন বদভ্যাসের মানুষ তৈরির জন্য আমরাই দায়ী।)
-যাদের গল্প-আড্ডার বিষয় থাকে গতকালের বিষয়, তাদের অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে। আড্ডাকে টাকার অংকের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা যেতে পারে। আড্ডার উপস্থিতি কি আমার মানসিক অবস্থাকে উন্নত করছে না অনুন্নত করছে তা জানতে হবে। প্রয়োজনে নেতিবাচক কথাবার্তা জোরালোভাবে এড়াতে হবে।
আমি যেভাবে মানুষ এড়িয়ে চলি:
-আমার অনেক বন্ধু (সহপাঠী) নেতিবাচক। এর জন্য তাদের দোষ নেই। তাদের বেড়ে ওঠা, শৈশবে আমার হাত নেই। আমি অনেকদিন পর্যন্ত তাদের সঙ্গে নানান আড্ডা ও সফরে অংশ নিতাম। ২০১৭ সালের পর থেকে আমি এই অভ্যাস ত্যাগ করেছি। আমি জোরালো ভাবে তাদের উপস্থিতি আছে যেখানে তা এড়িয়ে চলি। কিংবা পারতপক্ষে আমাকে উপস্থিত হতে হলে আমি ‘নেগেটিভ’ কোন কিছু ট্রিগার না করা থেকে বিরত থাকি। কেউ নেতিবাচক কিছু বললে ‘আমি এই বিষয়ে কথা বলতে অস্বস্থিতে পড়েছি’ বলে ক্ষমা চেয়ে নিজেকে সরিয়ে নেই।
-আমার নেতিবাচক যত বন্ধু আছে সবার সঙ্গেই আমার এখন একটা স্পষ্ট দুরত্ব আছে। আমি কোন মিটিং বা আড্ডায় নেতিবাচক কিছু ঘটলে প্রথম দিকে সরাসরি কিছু বলতে পারতাম না। আমি পরবর্তীতে ইমেইল বা হোয়াটসঅ্যাপে সরাসরি এমন লিখতাম,
দেখো বন্ধু, আমি নিজের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছি। তোমার কাছ থেকেও আমি নিত্য নতুন অনেক কিছু শেখার সুযোগ পাচ্ছি। গতকালের ……….এই ঘটনায় আমার মন খারাপ হয়েছে। আমি …… এই বিষয়ে কথা বলতে বা শুনতে এখন আর অভ্যস্ত নই। আমার অতীতের অভিজ্ঞতার কারণে আমার কষ্ট হয়। আশা করি, তুমিও এমন পরিস্থিতিতে কখনও না কখনও পড়েছো বলে আমার কষ্ট বুঝতে পারবে। আমরা এমন করে আর ভবিষ্যতে কথা বলবো না।
সত্যিকার অর্থে, এমন বার্তা বন্ধুদের পাঠিয়ে আমি নিজের অবস্থান স্পষ্টভাবে তুলতে পেরেছি।
-আমার অনেক আত্মীয়-স্বজন ইতিবাচক নন। আমি সর্বোচ্চ দুরত্ব তৈরি করেছি। সবার সঙ্গেই যে সব সময় আত্মীয়তার বন্ধনে থাকার নামে মানসিক চাপ সহ্য করতে হবে, এমন উদার হতে চাই না আমি।
-আমার অফিসের অনেক সহকর্মীর সঙ্গে এমনভাবে সম্পর্ক তৈরি করেছি আমি। কাজের মধ্যে যতটুকু কথা ঠিক ততটুকু কথা। সবার জ্ঞান-বুদ্ধি এক নয় বলে সবাইকে ক্ষমা করা শিখেছি। সবাই সব কিছু বোঝাতে পারবো নাম বলে সবাইকে করুণা করছি। নিজেকে ক্ষমা করার মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে দুরত্ব তৈরি করছি।