এসিড নিক্ষেপের শাস্তি কী?
এসিড নিক্ষেপের জন্য অপরাধ দমন আইন, ২০০২-এ সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের ব্যবস্থা রয়েছে। দেশের প্রতিটি জেলায় এসিড নিক্ষেপ সংক্রান্ত আপরাধের বিচারের জন্য এসিড অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল আছে। জেলা ও দায়রা জজদের এসিড অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এসিড দিয়ে মৃত্যু ঘটানোর শাস্তি :
যদি কোনো ব্যক্তি এসিড দিয়ে অন্য কোনো ব্যক্তির মৃত্যু ঘটায় তাহলে ওই ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে। তাকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা যাবে বলে এসিড অপরাধ দমন আইন, ২০০২-এর ৪ ধারায় বলা হয়েছে।
এসিড দিয়ে আহত করার শাস্তি :
আইনের ৫ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যক্তিকে এসিড দিয়ে এমনভাবে আহত করে যে,
ক. দৃষ্টিশক্তি বা শ্রবণশক্তি সম্পূর্ণ বা আংশিক হারায়, মুখমণ্ডল, স্তন বা যৌনাঙ্গের বিকৃতি ঘটে বা নষ্ট হয় তাহলে অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। অপরাধীকে এক লাখ টাকা জরিমানাও করা যাবে।
খ. এসিড নিক্ষেপের ফলে যদি কেউ শরীরের কোনো অঙ্গ, গ্রন্থি বা অংশ বিকৃতি বা নষ্ট বা কোনো স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হন তাহলে এসিড নিক্ষেপকারীর ১৪ বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে।
এসিড নিক্ষেপ করা বা নিক্ষেপের চেষ্টা করার শাস্তি : যদি কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যক্তির ওপর এসিড নিক্ষেপ করে বা নিক্ষেপের চেষ্টা করে এবং এর ফলে যদি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির শারীরিক, মানসিক বা অন্য কোনোভাবে ক্ষতি নাও হয়, তথাপি অপরাধীর অনধিক সাত বছর কিন্তু অনূ্যন তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড হতে পারে। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও হতে পারে।
এসিড নিক্ষেপে সহায়তাকারীর শাস্তি :
এসিড অপরাধ দমন আইনের ৭ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি ওই আইনের অধীনে কোনো অপরাধ সংঘটনে কাউকে সহায়তা করে এবং এই সহায়তার ফলে অপরাধটি সংঘটিত হয় অথবা অপরাধটি সংঘটনের চেষ্টা করা হয়, তাহলে অপরাধ সংঘটনের জন্য বা চেষ্টা করার জন্য নির্ধারিত দণ্ডে সহায়তাকারীও দণ্ডিত হবে।
লিখেছেন :
অ্যাডভোকেট মাজহারুল ইসলাম
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট