ওযূর ফযীলত সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ কর?
ওযূর ফযীলত সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ কর?
(১) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ
করেন,…… কালো ঘোড়া সমূহের
মধ্যে কপাল চিতা ঘোড়া
যেভাবে চেনা যায়..
ক্বিয়ামতের দিন আমার উম্মতের
ওযূর অঙ্গগুলির ঔজ্জ্বল্য দেখে
আমি তাদেরকে অনুরূপভাবে
চিনব এবং তাদেরকে হাউয
কাওছারের পানি পান করানোর
জন্য আগেই পৌঁছে যাব’। অতএব
যে চায় সে যেন তার ঔজ্জ্বল্য
বাড়াতে চেষ্টা করে’।
(২) তিনি বলেন, ‘আমি কি
তোমাদের বলব কোন্ বস্ত্ত দ্বারা
আল্লাহ তোমাদের গোনাহ সমূহ
অধিকহারে দূর করেন ও সম্মানের
স্তর বৃদ্ধি করেন?….. সেটি হ’ল
কষ্টের সময় ভালভাবে ওযূ করা,
বেশী বেশী মসজিদে যাওয়া ও
এক ছালাতের পরে আরেক
ছালাতের জন্য অপেক্ষা করা’।
(৩) তিনি আরও বলেন, ‘ছালাতের
চাবি হ’ল ওযূ’।
(৪) তিনি বলেন, ‘মুসলমান যখন ফরয
ছালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে
সুন্দরভাবে ওযূ করে এবং পূর্ণ
মনোনিবেশ ও ভীতি সহকারে
সুষ্ঠুভাবে রুকূ-সিজদা আদায় করে,
তখন ঐ ওযূ ও ছালাত তার বিগত সকল
গুনাহের কাফফারা হিসাবে
গৃহীত হয়। তবে গোনাহে
কাবীরাহ ব্যতীত’। অন্য বর্ণনায়
এসেছে, ঐ ব্যক্তি গোনাহ থেকে
এমনভাবে মুক্ত হয়, যেমনভাবে
তার মা তাকে পরিচ্ছন্নভাবে
প্রসব করেছিল।
(৫) ওযূ করার পর সর্বদা দু’রাক‘আত
‘তাহিইয়াতুল ওযূ’ এবং মসজিদে
প্রবেশ করার পর দু’রাক‘আত
‘তাহিইয়াতুল মাসজিদ’ নফল
ছালাত আদায় করবে। এই
আকাংখিত সদভ্যাসের কারণেই
জান্নাতে বেলাল (রাঃ)-এর
অগ্রগামী পদশব্দ রাসূলুল্লাহ
(ছাঃ) স্বপ্নের মধ্যে
শুনেছিলেন। তবে মসজিদে
গিয়ে জামা‘আত চলা অবস্থায়
পেলে কিংবা এক্বামত হয়ে
গেলে সরাসরি জামা‘আতে
যোগ দিবে।