কখন কথা বলা উচিত আর কখন নীরব থাকতে হবে?
কখন কথা বলা উচিত আর কখন নীরব থাকতে হবে?
Add Comment
কখন কথা বলা উচিত এবং কখন নীরব থাকা উচিত তা নির্ধারণ করা একটি জটিল বিষয়, কারণ এটি বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে, যেমন:
- প্রেক্ষাপট: আপনি কোথায় আছেন এবং আপনি কার সাথে কথা বলছেন তার উপর নির্ভর করে আপনার কী বলা উচিত তা পরিবর্তিত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, একটি কর্মক্ষেত্রের মিটিংয়ে আপনি যা বলবেন তা একটি বন্ধুর সাথে আড্ডা দেওয়ার সময় আপনি যা বলবেন তার চেয়ে আলাদা হবে।
- শ্রোতা: আপনি কার সাথে কথা বলছেন তার উপরও নির্ভর করে আপনার কী বলা উচিত তা। কিছু লোক অন্যদের তুলনায় বেশি সংবেদনশীল হতে পারে, তাই আপনাকে আপনার শব্দগুলি সাবধানে নির্বাচন করতে হবে।
- আপনার উদ্দেশ্য: আপনি কী অর্জন করার চেষ্টা করছেন তার উপর নির্ভর করে আপনার কী বলা উচিত তাও পরিবর্তিত হবে। আপনি কি তথ্য শেয়ার করার চেষ্টা করছেন, কাউকে রাজি করার চেষ্টা করছেন, নাকি কেবল একটি কথোপকথন করার চেষ্টা করছেন?
- আপনার নিজের অনুভূতি: আপনি যদি বিরক্ত, রাগান্বিত বা দুঃখিত বোধ করেন তবে কথা বলা ভাল ধারণা নাও হতে পারে। কারণ এই আবেগগুলি আপনাকে এমন কিছু বলতে পারে যা আপনি পরে অনুশোচনা করবেন।
কথা বলার জন্য কিছু টিপস:
- আগে চিন্তা করুন: আপনি কিছু বলার আগে, নিজের থেকে জিজ্ঞাসা করুন যে এটি কি বলা সত্যিই প্রয়োজন। আপনি কি কেবল মনোযোগ আকর্ষণ করার চেষ্টা করছেন, নাকি আপনার কাছে আসলেই কিছু গুরুত্বপূর্ণ বার্তা আছে?
- শ্রদ্ধাশীল হোন: অন্যদের সাথে কথা বলার সময়, তাদের মতামত এবং অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন। এমনকি যদি আপনি তাদের সাথে একমত না হন তবেও আপনার তাদের কথা শুনতে এবং তাদের দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে ইচ্ছুক হওয়া উচিত।
- স্পষ্ট এবং সংক্ষিপ্ত হোন: আপনি যা বলতে চান তা স্পষ্ট এবং সংক্ষিপ্তভাবে বলুন। দীর্ঘ ও বাতাবরণে ভরা বক্তৃতা এড়িয়ে চলুন যা আপনার শ্রোতাদের হারিয়ে ফেলতে পারে।
- শরীরী ভাষা ব্যবহার করুন: আপনি যা বলছেন তা আরও ভালভাবে বোঝাতে আপনার শরীরী ভাষা ব্যবহার করুন। চোখের যোগাযোগ বজায় রাখুন, মুখের অভিব্যক্তি ব্যবহার করুন এবং আপনার শরীরকে খোলা রাখুন।
- শুনতে শিখুন: কেবল নিজেকে কথা বলার জন্য মনোযোগ দেবেন না, অন্যদের কথাও মনোযোগ দিয়ে শুনুন। তাদের যা বলা আছে তা বোঝার চেষ্টা করুন এবং প্রতিক্রিয়া জানানোর আগে তাদের কথা সম্পূর্ণ শুনুন।