কষ্ট পেলে বা ডিপ্রেসড থাকলে কাকে সবচেয়ে বেশি মনে পরে?
কষ্ট পেলে বা ডিপ্রেসড থাকলে কাকে সবচেয়ে বেশি মনে পরে?
নিশ্চয়ই আল্লাহকে। আপনার উত্তর এই উত্তরের ব্যতিক্রম হলে আপনার নিজের ঈমান নিয়ে ভাবার সময় এসে গেছে।
আমার ক্ষেত্রে আমিও একই জিনিস উপলব্ধি করার চেস্টা করি। মুমিন কখনো হতাশ হতে পারে না। তাহলে কেনো আমি হতাশ।
আপনি এবং আপনার স্রষ্টার মধ্যকার দূরত্বের নামই হল ডিপ্রেশন।
খাদিজা(রা:) খুব ধনী ঘরের মেয়ে ছিলেন। বিলাসিতার মধ্যেই বড় হওয়াটাই স্বাভাবিক। নবিজী (স:) এর ইসলাম প্রচারের কারণে অন্যান্য গোত্র যখন কুরাইশদের অবরোধ দিল তখন নবিজী আর খাদিজা (রা:) এর গোত্রের শিশুদের আড়াইবছর তীব্র কষ্টে থাকতে হয়েছিলো। এমনকী ক্ষুধার তাড়নায় গাছের পাতা পর্যন্ত খেয়েছিলেন।
হযরত বিলাল (রা) ছিলেন হাবশী ক্রীতদাস। ইসলাম কবুলের অপরাধে তাকে মরুভূমির রোদে ফেলে রাখা হতো, তার গায়ের চর্বি গলে যেতো। তারপরও তার মুখে লেগে থাকতো প্রশান্তি রোদের তেজ তাঁর কালিমার তেজের কাছে পরাজিত হতো।
ইমাম ইবনু তাইমিয়্যা তাঁর জীবনে আট বছর জেল খেটেছেন। জেলেই মরেছেন। অথচ তিনি কী বলেছিলেন জানেন?? বলেছিলেন, দুনিয়াতেও একটা জান্নাত আছে, আমি আমার হৃদয়ে সে জান্নাতের খোঁজ পেয়েছি।
এরকম আরো শত শত ঘটনা রয়েছে যেসব শুনলেই শরীরের লোম দাড়িয়ে যায়। আমাদের পূর্ব পুরুষ রা এরকম ঈমানের অধিকারী ছিলেন। তাদের ছিল আল্লাহর উপর পরিপূর্ণ আস্থা।
যে বিপদ মানুষকে আল্লাহর দিকে নিয়ে আসে তা একান্ত নিয়ামত ছাড়া কিছু নয়।
আল্লাহ তাআলা বলেন-‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদেরকে কিছু ভয় ও ক্ষুধা দ্বারা, ধন-সম্পদের ক্ষতি ও প্রাণহানি এবং ফল-ফসলের ক্ষতি দ্বারা পরীক্ষা করব। আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও।’ (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১৫৫)
আল্লাহ্ তাআলা, ইসলাম, ইমান আর ডিপ্রেশন এক অন্তরে একসঙ্গে থাকতে পারে না। যদি আপনার মনে বিন্দুমাত্র ডিপ্রেশন থাকে, তার মানে আপনার হৃদয়ে আল্লাহ্ নাই, বরং ওখানে শয়তান বাসা বেঁধেছে।
যারা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয় তাদেরকে বলা হয় পথভ্রষ্ট!!
তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চিত আল্লাহর রহমত থেকে তো কাফের ছাড়া অন্য কেউ নিরাশ হতে পারে না। (সূরা ইউসুফ, ৮৭)
তাহলে কি জিনিস আপনাকে ডিপ্রেশনে ফেলে !!!