কাচা ছোলার উপকারিতা কি?
কাঁচা ছোলাঃ স্বাস্থ্যকর খাবার হিসাবে কাঁচা ছোলার বেশ সুনাম রয়েছে। এটা মুখরোচকও বটে। শক্তি দেয়। পেটেও থাকে বেশিক্ষণ।
কাঁচা ছোলার পুষ্টিগুণঃ কাঁচা ছোলা অত্যন্ত পুষ্টিকর। এটি আমিষের একটি উল্লেখযোগ্য উৎস। কাঁচা ছোলায় আমিষের পরিমাণ মাংস বা মাছের আমিষের পরিমাণের প্রায় সমান।
প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁচা ছোলায় রয়েছেঃ
প্রায় ১৭ গ্রাম আমিষ বা প্রোটিন
৬৪ গ্রাম শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট
৫ গ্রাম ফ্যাট বা তেল
প্রায় ২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম
১০ মিলিগ্রাম লৌহ
১৯০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন এ
কাঁচা ছোলার শর্করা বা কার্বোহাইড্রেটের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। খাওয়ার পর খুব তাড়াতাড়িই হজম হয়ে গ্লুকোজ হয়ে রক্তে চলে যায় না। বেশ সময় নেয়। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কাঁচা ছোলার শর্করা ভালো। কাঁচা ছোলার ফ্যাট বা তেলের বেশির ভাগই পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়। প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট ছাড়া কাঁচা ছোলায় আরও রয়েছে বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ লবণ। এ ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন বি-১, বি-২, ফসফরাস ও ম্যাগনেশিয়াম। এ সবই শরীরের জন্য কাজে লাগে। কাঁচা ছোলায় খাদ্য-আঁশও আছে বেশ। এ আঁশ কোষ্ঠ কাঠিন্যে উপকারী। খাবারের আঁশ হজম হয় না। এভাবেই খাদ্যনালী অতিক্রম করতে থাকে। তাই পায়খানার পরিমাণ বাড়ে এবং পায়খানা নরম থাকে। এতে কোষ্ঠ কাঠিন্য দূর হয়। পায়খানা করা সহজ হয়। নিয়মিত পায়খানা হয়ে যায় বলে ক্ষতিকর জীবাণু খাদ্যনালীতে থাকতে পারে না। ফলে খাদ্যনালীর ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা কমে। রক্তের চর্বি কমাতেও সহায়ক খাদ্যের আঁশ। আরও নানান শারীরিক উপকার আছে খাদ্য-আঁশে। দেরীতে হজম হয়, এরূপ একটি খাবার হচ্ছে কাঁচা ছোলা। শরীরে শক্তির যোগান দিতে থাকে দীর্ঘক্ষণ ধরে। প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁচা ছোলা থেকে পাওয়া যায় ৩৬০ ক্যালরিরও অধিক শক্তি।