কাঠ বাদাম কি কি কাজে লাগে?
কাঠ বাদাম কি কি কাজে লাগে?
কাঠবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন বি, ই, ডি এবং ভালো ফ্যাট যা আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত ভালো।
নিয়মিত কাঠবাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো বলে একে বলা হয় সুপারফুড।
স্মৃতিশক্তি প্রখর করে কাঠবাদাম কাঠবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি। যা মস্তিষ্কের কোষগুলোকে উন্নত করতে সহায়তা করে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
বাচ্চাদের ছোটবেলা থেকেই প্রতিদিন কাঠবাদাম খাওয়ার অভ্যাস করলে স্মৃতিশক্তি অনেক বেশি প্রখর হয়। তবে অবশ্যই তেলেভাজা লবণাক্ত বাদাম খাওয়া উচিৎ নয়। পানিতে ভিজিয়ে ছিলে খেতে হবে।
কাঠবাদাম এবং মধুর ফেইসপ্যাকঃ
শুষ্ক এবং রুক্ষ আবহাওয়ায় শুষ্ক ত্বক আরও বেশি রুক্ষ হয়ে যায়। ত্বক ফেটে যায় এবং ত্বক কালো হয়। এই সমস্যার জন্য ব্যবহার করুন কাঠবাদাম এবং মধুর এই ফেইসপ্যাকটি।
৭/৮ টি কাঠবাদাম সারারাত পানিতে
ভিজিয়ে রেখে বেটে নিন। এরপর এতে ১ চা
চামচ মধু এবং ১ চা চামচ অলিভ অয়েল দিয়ে
পেস্টের মত তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি ত্বকে
লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। ঠাণ্ডা পানি
দিয়ে হালকা ঘষে তুলে ফেলুন। ত্বক ফাটা
এবং ত্বকের কালো দাগ দূর হবে।
দ্রুত ওজন কমাতে কাঠবাদাম
কাঠবাদামে রয়েছে ফাইটোস্টেরল এবং
মনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড যা
দেহের ক্ষতিকর কোলেস্টরল কমাতে
সাহায্য করে। কাঁচা কাঠবাদাম প্রোটিন
এবং ফাইবারের উৎস যা অনেক সময় ধরে
ক্ষুধার উদ্রেক করে না। এবং ক্ষুধা
কমায়। এতে করে ওজন কমতে সাহায্য করে।
চুলের যত্নে কাঠবাদাম তেলঃ
চুল পড়া, চুলের রুক্ষতা এবং মাথার
ত্বকের সুস্থতায় কাঠবাদামের তেলের
জুড়ি নেই। কাঠবাদামের ভিটামিন ডি ও
ম্যাগনেসিয়াম চুল পড়া রোধ করে এবং
মাথার ত্বক উন্নত করে। চুলে সরাসরি এই
তেল লাগিয়ে ঘন্টাখানেক রেখে চুল
ধুয়ে ফেলুন।
ত্বকের সুস্থতায় কাঠবাদামের দুধ
কাঠবাদামের ভিটামিন ই ত্বকের রুক্ষতা
ও শুষ্কতা দূর করতে বেশ কার্যকরী।
ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক ময়েসচারাইজার
হিসেবে কাজ করে কাঠবাদামের দুধ।
কাঠবাদাম বেটে নিয়ে চিপে এর দুধ বের
করা যায় সহজেই। এই দুধ সরাসরি ত্বকে
ব্যবহার করলে ত্বক মসৃণ, সুন্দর ও উজ্জ্বল
হয়।
বেসন, লেবুর রস ও কাঠবাদাম একসাথে
পেস্ট করে ১০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন।
তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার
করে ফেলুন। বেসন ও লেবুর রস মুখের মৃত কোষ,
কালোদাগ দুর করতে সহায়তা করে।