কিছু অবাক করা তথ্য বা বিষয় কী?
কিছু অবাক করা তথ্য বা বিষয় কী?
জানিনা কতটা অবাক করা তথ্য বা বিষয় দিতে পারব ,
তবে যদি কখনো শুনে থাকেন যে কারো ব্লাড গ্রুপ পরিবর্তন হয়েছে তাহলে হয়তো ঠিকই শুনেছেন। কতটা অবাক করার মতই। আমি নিজেও প্রথমে শুনে খানিকটা কৌতূহলী হয়ে উঠি। পরে জানতে পারি বিভিন্ন কারণেই ব্লাড গ্রুপ পরিবর্তন হতে পারে।
কিন্তু ব্লাড গ্রুপ পরিবর্তন হয় কিভাবে?
কয়েকটি কারণে ব্লাড গ্রুপ চেঞ্জ হয়ে যেতে পারে।
বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করলে ব্লাড গ্রুপ চেঞ্জ হয়ে যায়। কারণ বোন ম্যারো বি লোহিত কণিকা তৈরি করে। তাই আপনার ব্লাড গ্রুপ যাই থাকুক না কেন, আপনি যদি অন্য কারো গ্রুপের বোন ম্যারো গ্রহণ করেন, তাহলে আপনার ব্লাড গ্রুপ ধীরে ধীরে সেই গ্রুপে পরিবর্তিত হবে।
আর রুবেলা ভাইরাস নামের একটি ভাইরাস গর্ভবতী মায়েদের আক্রমণ করার পর সন্তানের ব্লাড গ্রুপ “ও নেগেটিভ” এ পরিবর্তন করে। কেউ যদি ওই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয় তাহলে এটা পসিবল যে তার ব্লাড গ্রুপে পরিবর্তন হয়ে যাবে।
কিন্তু অন্য কোন কেস, যেমন “ও” ব্লাড গ্রুপ থেকে “এ” ব্লাড গ্রুপে রূপান্তর এটা হওয়া বেশ কঠিন। খুব রেয়ার কেসে যেমন ভাইরাল ইনফেকশন, মেলিগন্যান্ট ক্যান্সার, বা অটো ইমিউন রোগের ক্ষেত্রে নতুন এন্টিজেন অ্যাড হতেও পারে।
মজার ব্যাপার হলো, বিজ্ঞানীরা এক ধরনের মাশরুম থেকে একটা এনজাইম আলাদা করেছেন। যেটা এন্টিজেন গুলোকে মেরে ফেলে এবং ব্লাড গ্রুপ “ও নেগেটিভ” হয়ে যায়। তবে এটা এখনো গবেষণা পর্যায়ে আছে। ভবিষ্যতে হয়তো প্রত্যেক শিশুর জন্মের সময় এই এনজাইম দেহে ঢুকিয়ে দেওয়া হবে। টিকা যেমন বাধ্যতামূলক, এটাও তেমন বাধ্যতামূলক করা হবে। এটার বাস্তবায়ন হলে পৃথিবীর সব মানুষের রক্তের গ্রুপ হবে “ও নেগেটিভ” । আর রক্ত তখন হয়ে যাবে একটা ইউনিভার্সেল ফ্লুইড। তখন রক্ত সরবরাহ বেশি থাকায় মৃত্যুহারও উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসবে বলে ধারনা বিজ্ঞানীদের।
তাই যদি কখনো শোনেন যে কারো ব্লাড গ্রুপ চেঞ্জ হয়ে গেছে, তখন বলতে পারবেন, “এটাতো অসম্ভব কিছু না।”