কিছু ভালো মনস্তাত্ত্বিক কৌশল কী কী?

    Default Asked on October 25, 2023 in অনুসরণ.
    Add Comment
    1 Answer(s)

      ★ আপনি যদি কোথাও ইন্টারভিউ দিতে যান কিংবা আপনি যদি এমন কারো সাথে দেখা করতে যান যার সাথে আপনার কোনদিন পরিচয় হয় নি। এর আগে আপনি তার সাথে বা তাদের সাথে কোন কথা বলেন নি এবং তাদের কখনো আপনি দেখেনও নি। এবার তাদের সাথে দেখা করার আগে বা ইন্টারভিউ দেয়ার আগে আপনি মনে মনে বলুন “আমি এদেরকে অনেক দিন ধরে চিনি, অনেক দিন থেকে আমি তাদের সাথে দেখা করতে চেয়েছিলাম কিন্তু সময় পাই নি। আজ সময় পেয়েছি তাই তাদের সাথে দেখা করতে যাচ্ছি। আমি তাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য খুব এক্সাইটেড।” এভাবে কয়েকবার বললে আপনার ব্রেইন তাদেরকে নিয়ে একটা পজেটিভ স্টেটমেন্ট তৈরী করবে। আপনি যদি ভয় পেয়ে থাকেন আপনার ভয় কমে যাবে। কিংবা আপনি নার্ভাস ফিল করলেও নার্ভাসনেস অনেকটাই কমে যাবে।

      ★ মনে করুন আপনি কিছু ভুলে গেছেন এখন আপনি সেটা মনে করতে চান কিন্তু আপনি কিছুতেই সেটা মনে করতে পারছেন না। কথাটা আপনার পেটে আসছে কিন্তু মুখে আসছে না। তখন আপনি সিম্পলই আপনি আপনার হাতের আঙ্গুল গুলোকে জড়িয়ে ফেলুন এবং ছেড়ে দিন। এভাবে কিছুক্ষণ করলে চান্স থাকে আপনি যেটা মনে করতে পারছেন না সেটা মনে করতে পারলেন।

      ★ এবার আপনি যখন শপিং করতে যাবেন তখন লক্ষ্য করবেন আপনার চোখের সামনে যেসব জিনিস রাখা হয় সেগুলোর দাম একটু বেশি বা যেগুলো বেশি দামী জিনিস সেগুলোই সেখানে রাখা হয়। আবার মাঝে মধ্যে এমন কিছু প্রোডাক্টও সেখানে রাখা হয় যেগুলো আর বিক্রি হচ্ছে না। সেই যায়গায় প্রোডাক্টগুলো রাখলে বিক্রির চান্স অনেকটাই বেড়ে যায়। সেজন্যই বেশি দামি প্রোডাক্ট এমন জায়গায় রাখা হয় সর্বপ্রথম যাতে সেখানেই আপনার চোখ যায়। এবং আমরা যেটা নিতে চাই সেই রিলেটেড ডিফারেন্ট প্যাকেট কোন দোকান বা শপিংমলে গিয়ে সর্বপ্রথম আমাদের নজরে পরলে সেটাই আমরা নিয়ে নেই। এটা একটা সাইকোলজি ফ্যাক্ট।

      ★ আপনি যদি কোথাও কখনো কম্পিটিশনে অংশ নেন। আর আপনি যদি দেখেন যে আপনার কম্পিটিটর আপনার থেকে অনেক বেশি স্ট্রং। তাহলে তাকে কম্পিটিশনের আগে একটাই প্রশ্ন করুন। “তুমি এতো বেশি স্ট্রং এর কারন কি? কি এমন সিক্রেট আছে তোমার কাছে?” অবশ্যই সে আপনাকে কিছু বলবে না কিন্তু এর পরে হয়তো আপনার কম্পিটিটর তারিফ শুনে অহংকারী হয়ে পরবে। আর না হলে তার ব্রেইন এটা ভাবতে থাকবে আসলে কি আমার কাছে কোন সিক্রেট আছে!! না হলে ও এরকম কেন বলল⁈ আর আপনার কম্পিটিটরের সাথে এই দুটোর যদি একটাও হয় তাহলে অভারঅল আপনারই লাভ।

      ★ নেগেটিভ মানুষের মুখ বন্ধ করার দুটো রাস্তা আছে। হয় আপনি তার থেকে দূরে থাকুন আর না হলে তার নেগেটিভ কথাকে শুনে থাকলেও না শোনার ভান করুন। আপনি যখন তাকে এতোটুকুও ইম্পরট্যান্স দিবেন না তাই বাধ্য হয়েই এক দুই দিনের মধ্যেই সে আর আপনাকে সেরকম কিছু বলবে না। আপনি যদি নেগেটিভ মানুষের কথা শুনে রিয়েক্ট করেন তাহলে এটাই হলো নেগেটিভ মানুষের প্রধান অস্ত্র।

      ★ আমরা অনেকেই আমাদের দুঃখ, ইমোশানকে সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করে থাকি। কিন্তু এটা মোটেও ঠিক নয়। কারন এই স্যাড বা ইমোশনাল পোস্ট দেখে অনেকেই আপনার থেকে সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করবে। এমনও হতে পারে আপনাদের সম্পর্কে কোন থার্ড পার্সোন ঢুকে গেলো।

      Professor Answered on October 25, 2023.
      Add Comment
    • RELATED QUESTIONS

    • POPULAR QUESTIONS

    • LATEST QUESTIONS

    • Your Answer

      By posting your answer, you agree to the privacy policy and terms of service.