কিভাবে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করব?
কিভাবে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করব?
আত্নবিশ্বাস বৃদ্ধি করার সর্বপ্রথম শর্ত হল নিজেকে জানা। নিজের ভুল-ত্রুটিকে মেনে নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া। যাদের মধ্যে আত্নবিশ্বসের অভাব রয়েছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা ইম্পোস্টার সিনড্রোমে ভোগে।
ইম্পোস্টার সিনড্রোম হলো এমন এক ধরণের মানসিক অবস্থা যে একজন মানুষ নিজের যোগ্যতা বা অর্জনকে সন্দেহের চোখে দেখে ও নিজেকে অযোগ্য মনে করে। মনে মনে সে ভয় পায় যে অন্যরা হয়তো তার অযোগ্যতা জেনে যাবে।
আত্নবিশ্বাস বৃদ্ধি করার পূর্বে আমাদের তিনটি ধ্রুব সত্য মেনে নিতে হবে।
- মানুষ হিসেবে আমরা কেউ পরিপূর্ণ হতে পারব না। সবার মধ্যেই অসম্পূর্ণ থাকবে যা খুব স্বাভাবিক।
- যা আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা না করে শুধু আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা জিনিসগুলোর দিকে সম্পূর্ণ মনোযোগ দিতে হবে।
- সর্বদা নিজের প্রতিযোগী হিসেবে নিজেকে চিন্তা করতে হবে। কাউকে নিজের প্রতিযোগী ভাবা যাবে না। অন্যকে টপকানোর চেষ্টা বা চিন্তা না করে নিজের আত্নউন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে।
আমরা আমাদের অভ্যন্তরীণ সমালোচক বা অন্তর্দ্বন্দ্ব সম্পর্কে সচেতন হব, অন্তর্দ্বন্দ্ব গুলোকে বন্ধ করব এবং তাকে ভুল প্রমাণ করব। আমাদের নিজেদের প্রতিদিন নতুন জিনিস চেষ্টা করার জন্য চাপ দেব এবং যখন কোনোকিছু আমাদের পক্ষে না যায় তখন নিজের প্রতি সদয় হব।
আত্নবিশ্বাস বৃদ্ধি করার জন্য আমাদের সবার জীবনের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকা অত্যন্ত জরুরী। লক্ষ্যহীন জীবন নাবিক ছাড়া জাহাজের মতো।
সর্বদা নিজের মধ্যে আত্নবিশ্বাস বজায় রাখার জন্য যে বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে বা যে বিষয়গুলো ঠিক করতে হবে তা হল-
- সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে।
- স্বপ্নের চেয়ে বড় লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে।
- দীর্ঘমেয়াদী এবং স্বল্পমেয়াদী লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে।
- যেকোনো অভ্যাসের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।
- জীবনের সর্বোচ্চ ৩ টা প্রায়োরিটি রাখতে হবে এবং সে প্রায়োরোটি অনুযায়ী কাজ করে যেতে হবে।
- ঘুমটা ঠিক করতে হবে সর্বপ্রথম। রাত ১০ টা থেকে সকাল ৫ টা পর্যন্ত ঘুমাতে হবে প্রতিদিন।
আমি লেখা শুরু করলে লেখা শেষ করতে মন চাই না। শুধু মন চাই সারাদিন লিখি। লেখাটা এখানেই শেষ করলাম। কিন্তু আরো অনেক কিছু লিখতে মন চাচ্ছে তবে সময় যে নেই।
আমি যা লিখি আশা করি সবাই তা নিজেদের জীবনে প্রয়োগ করার চেষ্টা করেন। আপনারা যদি কোনোকিছু জেনে বা শিখে নিজেদের জীবনে তা প্রয়োগ না করেন তবে সে জানা বা শেখা মূল্যহীন।
তাই যা জানবেন বা শিখবেন চেষ্টা করবেন তা কাজে রূপান্তর করতে। তা না হলে এত বই পড়ে কিংবা উত্তর পড়ে কোনো লাভ হবে না। বরং শুধু শুধু সময় নষ্ট হবে।