কিভাবে কৃষ্ণচূড়া ও মাধবীলতা চাষ করা যায়?

    কিভাবে কৃষ্ণচূড়া ও মাধবীলতা চাষ করা যায়?

    Train Asked on June 17, 2019 in কৃষি.
    Add Comment
    1 Answer(s)

      ফুল বর্ষা পর্যন্ত থাকে। পাতা খুব ছোট। মূল পত্রদণ্ডের দু’দিকে উপ-পত্রদণ্ড থাকে এবং ওই উপ-পত্রদণ্ডের দু’দিকে ২০ থেকে ৪০ জোড়া ছোট ছোট (১ সেন্টিমিটার) পাতা সুন্দরভাবে সাজানো থাকে। ফুল ৭ থেকে ১০ সেন্টিমিটার চওড়া, পাপড়ি পাঁচটি। ফল দেখতে তলোয়ারের মতো। ফলের ভেতরে বীজ থাকে। সাধারণত বীজ থেকেই নতুন চারা গজায়। কলমের মাধ্যমেও চারা করা যায়। কিন্তু বাংলাদেশে যে হলুদ কৃষ্ণচূড়া গাছটি আছে, তাতে কোনো ফল দেখা যায় না। ফলে কলম ছাড়া এর থেকে নতুন কোনো চারা পাওয়া যাবে না।গাছ যে পরিমাণ রস মাটি থেকে চুষে নেয় তার সামান্য পরিমাণ অংশই ‘ফটোসিনথেসিস’ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খাদ্য তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয় (মাত্র ০.১%)। শোষিত রসের সিংহ ভাগই (৯৯.৯%) ট্রান্সপিরেশন পদ্ধতির মাধ্যমে ‘স্টোমাটার’ মধ্য দিয়ে গাছ বায়ুতে ছেড়ে দেয় যা বায়ুতে জলীয় বাষ্প আকারে থাকে। ঊর্ধ্বাকাশে নিম্ন তাপমাত্রায় এই জলীয় বাষ্প ঘণীভূত হয়ে মেঘ-বৃষ্টির সৃষ্টি করে। এভাবে গাছ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে। শুষ্ক বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ খুবই কম থাকে। ফলে ট্রান্সপিরেশন হার বেড়ে যায় এবং মাটি থেকে অধিক পরিমাণে পানি চুষে নেওয়ার প্রয়োজন হয়। মাটিতে যথেষ্ট পরিমাণ রস না থাকলে গাছ বাঁচতে পারে না। এ কারণেই আমাদের দেশে বর্ষা মৌসুমে গাছের চারা রোপণের উত্তম সময়। কারণ বর্ষা মৌসুমে একদিকে বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকে অপরদিকে মাটিতে রসের পরিমাণও যথেষ্ট থাকে। যা রোপিত চারা সতেজ রাখতে সহায়ক। আবার অতিরিক্ত বৃষ্টির সময় বৃক্ষ রোপণ করা ঠিক নয়। কারণ এ সময় মাটিতে অতিরিক্ত পানি জমে থাকে এবং গাছের শিকড়ের শ্বাস-প্রশ্বাসে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে, ফলে শিকড় পঁচে যায় এবং চারা মরে যায়।জাত ভেদে পরিমিত আকারের গর্ত খনন করতে হবে এবং ভালভাবে পঁচানো আবর্জনা বা গোবর সার চারা রোপণের অন্তত: ১৫ দিন আগে গর্তের মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।

      Professor Answered on June 17, 2019.
      Add Comment
    • RELATED QUESTIONS

    • POPULAR QUESTIONS

    • LATEST QUESTIONS

    • Your Answer

      By posting your answer, you agree to the privacy policy and terms of service.