কিভাবে চুপ থাকা যায়?
অপ্রয়োজনীয় কথা কেন বলবেন? কার সাথে বলবেন? কী বলবেন? বাঁচাল বা Talkative মানুষ সবসময় অপমানিত, লজ্জিত এবং বিভিন্ন সমস্যায় পড়েন।আর যারা চুপ থাকে তারা বেঁচে যায়। বিভিন্ন অশান্তি, বিশৃঙ্খলা, বিপদ থেকে।
চমৎকার একটি প্রবাদ আছে চুপ থাকা নিয়ে,”চুপ থাকা যদি রূপার তৈরি হয়, নিরবতা তবে সোনার তৈরি।”
আরবি প্রবাদটাও অসাধারণ,”তুমি তখনই কথা বলো যখন তা চুপ থাকার চেয়েও সুন্দর।” (মুসলিম হিসেবে যদি বলা হয়)
ইসলামে কেন চুপ থাকাকে এত গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে?
– কারন জিহ্বা দ্বারা সংশ্লিষ্ট গুনাহ গুলো আমাদের ভালো আমলগুলোকে নষ্ট করে দিচ্ছে।
অতিরক্ত কথা বা জিহ্বা দ্বারা সৃষ্ট কবিরা গুনাহ সমূহঃ
০১. মিথ্যা কথা বলা
০২. মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া
০৩. মিথ্যা শপথ করা
০৪. গিবত করা
০৫. পরনিন্দা করা
০৫. অভিশাপ দেয়া
০৬. খোঁটা দেওয়া
০৭. চোগলখোরি করা
আমরা সারাদিনে যত কথা বলি তার বেশিরভাগই দেখা যায় অপ্রয়োজনীয় এবং মিথ্যাচার ও গিবতে পরিপূর্ণ। অথচ মুখ নিঃসৃত প্রতিটি শব্দই লিপিবদ্ধ হচ্ছে।
মহান আল্লাহ বলেন, “মানুষ যে কথাই উচ্চারন করুক না কেন তা লিপিবদ্ধ করার জন্য তৎপর প্রহরী তার নিকটেই রয়েছে।” (সূরা কাফঃ ১৮)
হাশরের ময়দানে দেখা গেল আমাদের পূণ্যের চেয়ে পাপের পাল্লা ভারি।
অবাক! কখনো কারো ক্ষতি করিনি, কারো প্রতি অন্যায় করিনি, তারপরো এ অবস্থা কেন? তখন উত্তর আসবে, “এগুলো তোমার মুখ নিঃসৃত পাপের ফল।” আল্লাহর রাসুল (সাঃ) এ জন্যই বলে গেছেন, “অধিকাংশ মানুষ জিহ্বা দ্বারা সংঘটিত পাপের কারনে জাহান্নামে যাবে।” (তিরমিযিঃ ১৬১৮)