শসা
আমরা প্রায়ই দেখে থাকি যে পার্লারে চোখে শসার টুকরো দিয়ে অনেকেই শুয়ে থাকেন। এটার অন্যতম কারণ হল শসা আমাদের চোখের ক্লান্তিভাব কমানোর অন্যতম মহাঔষধ। শসার উচ্চমানের জলীয় উপাদান চোখের ক্লান্তিভাব শুষে নিয়ে চোখকে সুন্দর আর আকর্ষণীয় করে তোলে।
জরুরী নয় যে এর জন্য আপনাকে পার্লারে গিয়ে সময় অতিবাহিত করতে হবে। বাড়িতেই খোসাসহ শসা টুকরো করে কেটে আপনার চোখের উপর ততক্ষণ পর্যন্ত রেখে দিন যতক্ষণ শসাটা গরম না হয়ে উঠে। এতে আপনার চোখের ক্লান্তিভাব সহজেই মুছে যাবে আর চোখ হয়ে উঠবে প্রাণবন্ত।
চা
চা আপনার চোখের ক্লান্তিভাবটুকু ভীষণ যত্নের সাথে তুলে নিয়ে আপনার চোখে লাবণ্য ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবে। চায়ের আন্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান সহজেই চোখের ক্লান্তি কমিয়ে চোখকে আবার জ্যোতির্ময় করে তোলে।
আপনাকে যা করতে হবে তা হলো টি ব্যাগ অল্পকিছু সময় ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে সেটা চোখের উপর আলতো করে চেপে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে গ্রিনটি ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। কিছুদিন এভাবে টি ব্যাগ ব্যবহার করে দেখুন ম্যাজিকের মতো করে চোখের ক্লান্তিভাব দূর হয়ে যাবে।
স্ট্রবেরি
স্ট্রবেরির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান alpha hydroxyl যা চোখের ক্লান্তিভাব কমাতে শতভাগ কাজ করে। টাটকা স্ট্রবেরি নিয়ে গোল করে কেটে আপনার চোখের উপর রেখে দিন। গরম অনুভব হওয়ার পর স্ট্রবেরি টুকরো তুলে ফেলুন। আর দেখুন কেমন করে এই সামান্য স্ট্রবেরি আপনার চোখের ক্লান্তিভাব মুছে দেয়।
পানি
চোখ উজ্জ্বল আর প্রাণবন্ত রাখতে পানির কোন বিকল্প হয়না। দিনে কমপক্ষে যদি আমরা ৪ থেকে ৫ বার মুখ ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলি তাহলে এমনিতেই চোখ সতেজ আর সুন্দর থাকবে। দিনে অন্তত ১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে। এতে করে আমাদের শরীর সুস্থ থাকার সাথে সাথেই চোখে ক্লান্তির ছাপ পড়ার কোন সম্ভাবনাই থাকবে না।
অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরার উপস্থিত ভিটামিন ও খণিজ উপাদান চোখের ক্লান্তিভাব দূর করতে খুব কার্যকরী। অ্যালোভেরা কাণ্ড থেকে সরাসরি জেল নিয়ে আপনার চোখের চারপাশে লাগান আর খেয়াল রাখুন যেন জেল চোখের মধ্যে চলে না যায়। কিছুক্ষণ এভাবে জেল লাগিয়ে রাখার পর চোখ ধুয়ে ফেলুন। আপনার চোখের ক্লান্তিভাব কমে আসবে।