কিভাবে নিজেকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলা যায়?
আপনি কখনো শুনেছেন গরু মাংস খাচ্ছে অথবা বাঘ ঘাস খাচ্ছে? শোনেনি নিশ্চয়ই! কেন শোনেননি জানেন। আসলে গরু একটি পরজীবী প্রাণী। গরু’র ঘাস খাওয়ার জন্য কখনোই শিকার করার প্রয়োজন হয় না। আর সৃষ্টিকর্তাও জানে গরু মাংস হজম করতে পারবে না। তাই তার পাকস্থলীও মাংস গ্রহণের অনুপযুক্ত। গরুকে তার মালিক নির্দিষ্ট সময় অন্তর ঘাস এবং ঐ জাতীয় খাবার পরিবেশন করে। তার বিনিময়ে একজন ভালো ভূত্যের (অনুগত কর্মচারী) মত প্রতিদিন মালিক কে দুধ প্রদান করে।
এই দিকে দেখুন বেচারা বাঘ ঘন্টার পর ঘন্টা ঝোপ জঙ্গলে লুকিয়ে থাকে, শিকার ধরার উদ্দেশ্যে। কখনো কখনো তো আবার অপেক্ষা করেও শিকার নাগালে পায়না। কোন কোন দিন বাঘ মশাই কে অনাহারেই কাটাতে হয়। তবুও বাঘ গাছের পাতা অথবা ঘাস খায় না। এতেই তার অস্তিত্ব। কেউ আবার এটাকে বাঘের অহংকার ও ভাবতে পারে।
এই দুটি প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য কোথায় জানেন?… আত্মবিশ্বাসের।
গরু জানে তার পক্ষে শিকার করা সম্ভব নয়। তাই মালিক বেঁধে রাখলেও সে হিংস্র হয়ে ওঠে না। এভাবে দিনের পর দিন মুখের কাছে খাবার পেয়ে যাওয়াতে সে হয়ে উঠেছে একটি ভীতু দুধেল গাই মাএ। যার অস্তিত্ব শুধু মালিকের করুণায় সীমাবদ্ধ। কারণ যেদিন মালিক চাইবে নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে অন্যের কাছে বেচতেও সে ভাববে না। তারপর সে কিনে কি করবে ঈশ্বর জানে।
বাঘ জানে সে শিকার ধরবেই। খাদ্যের জন্য সে অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে পছন্দ করে না। অনেক প্রাণী বাঘের শিকারের উচ্ছিষ্টেই নিজেদের পেট ভরে। যেমন শিয়াল, হায়না ইত্যাদি। এইজন্য মানুষ চিড়িয়াখানায় বাঘ দেখতে যায়। গরু ছাগল দেখতে যায় না।
আপনি পৃথিবীতে কিরকম ভাবে বেঁচে থাকতে চান?….. গরু হয়ে, না বাঘের মত? পছন্দ আপনার। যদিও সমাজে সকল কেই প্রয়োজন হয়। যদি বাঘের মত বাচতেই হয় তাহলে আপনার নিজের শিকার আপনাকে নিজেকেই করতে হবে। কেউ আপনার মুখের কাছে খাবার তুলে এনে দেবে না। আর এই জন্যই হতে হবে আপনাকে আত্মবিশ্বাসী।
আপনি শুধু ভাবুন আপনার কোন মালিক নেই, যে আপনার খাবার জোগাড় করে দেবে। এরকম চিন্তা ভাবনায় নিজেকে প্রস্তুত করতে পারলে দেখবেন আপনি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন এবং বাঘের মত বাঁচতে শুরু করেছেন।