কিভাবে মাষকলাই চাষ করা যায়?
আমাদের দেশে বিভিন্ন জাতের ডাল ফসল চাষ করা হয়। মাস কলাই এ ডাল ফসলের মধ্যে অন্যতম। আমাদের দেশে অধিকাংশ মানুষ মাংস থেকে তাদের দেহের জন্য প্রয়োজনীয় আমিষের চাহিদা পূরণ করতে পারে না। সেক্ষেত্রে মাস কলাই ডাল এসব মানুষের আমিষের ঘাটতি পূরণ করতে পারে।
মাসকলাইয়ের পুষ্টিগুণ
মাসকলাই ডালে প্রচুর পরিমানে খাদ্য শক্তি ও প্রোটিন আছে। এছাড়াও মাস কলাই-এ প্রায় শতকরা ২০-২৩ ভাগ আমিষ রয়েছে।
উপযুক্ত জমি ও মাটি
আমাদের দেশে প্রা্য় সব ধরণের মাটিতে মাস কলাই চাষ করা যেতে পারে। তবে বেলে দো-আঁশ ও পলি দো-আঁশ মাটি, মাঝারি উঁচু এবং সুনিষ্কাশিত জমি মুগ চাষের জন্য উপযোগী।
মাসকলাইয়ের জাত পরিচিতি
বিভিন্ন জাতের মাস কলাই রয়েছে। এদের মধ্যে উন্নত জাত গুলো হচ্ছে-
বারি মাস-১ (পান্থ)
১. গাছের উচ্চতা ৩২-৩৬ সে.মি।
২. বীজের রঙ কালচে বাদামী ও পাকা ফলের রঙ বাদামী।
৩. এ জাতটি দিন নিরপেক্ষ, তাই খরিপ-১, খরিপ-২ ও বিলম্ব রবি মৌসুমে চাষ করা সম্ভব।
৪. জীবনকাল ৭০-৭৫ দিন।
৫. প্রতিবিঘা জমিতে গড় ফলন প্রায় ২০০ কেজি।
৬. বংশগতভাবে জাতটি হলুদ ভাইরাস ও পাতার দাগ রোগ সহনশীল।
বারি মাস-২ (শরৎ)
১. গাছের উচ্চতা ৩৩-৩৫ সে.মি. ও স্থানীয় জাতের মতো লতানো হয় না।
২. পত্র ফলকগুলি মাঝারি সরু।
৩. পাকা ফলের রঙ কালচে, ফল খাড়া ও ফলের গায়ে শয়া বা শুং আছে।
৪. আমিষের পরিমাণ ২১-২৪%।
৫. জীবনকাল ৬৫-৭০ দিন।
৬. প্রতিবিঘা জমিতে গড় ফলন প্রায় ২২০ কেজি।
৭. এজাতটি খরিপ-১, খরিপ-২ ও বিলম্ব রবি মৌসুমে চাষ করা যায়।
৮. বংশগতভাবে জাতটি হলুদ ভাইরাস ও পাতার দাগ রোগ সহনশীল।
বারি মাস-৩ (হেমন্ত)
১. গাছের উচ্চতা ৩৫-৩৮ সে.মি. ও স্থানীয় জাতের মতো লতানো হয় না।
২. ফল পাকলে কালো হয় এবং ফলের গায়ে ঘন শয়া বা শুং আছে।
৪. বীজের রঙ কালচে এবং আকার স্থানীয় জাতের চেয়ে বড়।
৫. জীবনকাল ৭০-৭৫ দিন।
৬. এক বিঘা জমিতে গড় ফলন প্রায় ২৪০ কেজি।
৭. এজাতটি খরিপ-১, খরিপ-২ ও বিলম্ব রবি মৌসুমে চাষ করা হয়।
৮. এ জাত হলদে মোজাইক রোগ ও পাতার দাগ রোগ সহনশীল।