কিভাবে সময়ের অপচয় কমাবো?

    কিভাবে সময়ের অপচয় কমাবো?

    Add Comment
    1 Answer(s)

      প্রতিদিনের কাজের তালিকা করে নেয়া ছাড়া সময় অপচয় কমানোর আর কোনো অপশন নেই। তাই প্রাত্যহিক রুটিন করে সে অনুযায়ী চলতে হবে। আমি আমার রুটিন শেয়ার করছি।

      আমার প্রতিদিনের কাজগুলোয় ABCDE মেথড অনুসরণ করে থাকি।

      A = হাই প্রায়োরিটি, এভাবে পর্যায়ক্রমে প্রায়োরিটি কমতে থাকবে D পর্যন্ত।

      উপরে ইউনিভার্সিটি অপশনে প্রতিদিনের ক্লাসের তালিকা দেয়া আছে। A তে যে লিস্টগুলো আছে সেগুলো দিনের শুরুতে করতে হবে তারপর এভাবে পর্যায়ক্রমে E লিস্টের কাজগুলো দিনের শেষে করতে হবে। নিচে স্কোর ও প্রাইজ অপশনে প্রতিদিন যদি আমি ১০০ এর মধ্যে থেকে ৮০ এর উপরে পাই তবে নিজেকে উপহার দিব আর ৮০ এর বচে হলে শাস্তি। A-C পর্যন্ত লিজের প্রতিটা টাস্কের জন্য ১০ করে মার্ক আর D,E এর জন্য ৫ করে।

      একাডেমিক পড়ালেখার জন্য প্রতিদিন ৩ ঘন্টা সময় বরাদ্দ। আপনারা এখানে ৩ ঘন্টার জায়গায় আপনাদের প্রয়োজন মতো সময় বসিয়ে নিতে পারেন।

      ইংরেজি, ম্যাথ, ফিজিক্সের জন্য ১ ঘন্টা করে প্রতিদিন ৩ ঘন্টা বরাদ্দ। যাদের হায়ার স্টাডি করার ইচ্ছা আছে তাদের অবশ্যই এই তিনটা বিষয়ে প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট করে হলেও সময় দিতে হবে।

      আমি সাধারণ প্রতি মাসে হার্ড স্কিল রিলেটেড একটা কোর্স আর প্রতি সপ্তাহে সফট স্কিল রিলেটেড একটা করে কোর্স করে থাকি। তাই আমকে প্রতিটার জন্য প্রতিদিন ১ ঘন্টা করে সময় দিতে হয়। আপনাদের যদি অনেক কিছু নিয়ে জানার বিস্তর আগ্রহ এবং অনেক বড় লক্ষ্য থাকে তাহলে সফট আর হার্ড স্কিলে ভালো দক্ষতা থাকতে হবে।

      প্রতিদিন যদি বই পড়ার জন্য ১ ঘন্টা সময় না রাখি তাহলে কি হয়! আর ব্লগ পড়ে অনেক কিছু শেখা যায়। আমি মূলত আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেনশ নিয়ে ব্লগ পড়ি মিডিয়ামে প্রতিদিন আর গ্রামারলির ব্লগগুলোও অসাধারণ।

      ইউটিউবে মূলত ১৬ টা চ্যানেল ফলো করি। তারমধ্যে ৮ টা বাংলা আর ৮ টা ইংরেজি। চ্যানেলগুলো যেন জ্ঞানের ভান্ডার। আর নেটফ্লিক্সে টিভি শো দেখি একদম ঘুমানোর আগ মুহূর্তে।

      আজকে এখন পর্যন্ত ১০০ মধ্যে ৮৫ পেয়েছি তাই নিজেকে উপহার হিসেবে একটা স্পিড আর চিপস দিলাম।

      আমার প্রতিদিনের রুটিন শেয়ার করারে উদ্দেশ্য হচ্ছে, আপনারা যারা রুটিন মাফিক চলতে অসুবিধা হয়, যাদের রুটিকে বোরিং মনে হয় তাদের জন্য। এক কাজ করবেন প্লে স্টোরে পোমোডোরো নামে একটা অ্যাপস পাবেন। পোমোডোরোর মধ্যে একটা নির্দিষ্ট সময় সেট করে নিবেন যেকোনো একটা কাজ শুরু করার পূর্বমুহূর্তে। প্রতিটি কাজের ব্যাপ্তি হবে ৫০ মিনিট, তারপর ১০ মিনিট ব্রেক। কারণ বিজ্ঞানীদের ভাষ্যমতে আমাদের মস্তিষ্ক ৪৫ মিনিটের বেশি মনোযোগ ধরে রাখতে পারে না।

      পোমোডোরো অ্যাপসে শর্ট ব্রেকের জন্য ১০ মিনিট রাখেবেন আর প্রতিটি সেশনের জন্য ৫০ মিনিট সেটিংয়ে দিয়ে রাখবেন। যখন ৫০ মিনিট মানে একটা সেশন শেষ হবে তখন শর্ট ব্রেকের নোটিফিকেশনের সাউন্ড শোনার সাথে সাথে কাজ বন্ধ করে দিয়ে ১০ মিনিট ব্রেক নিবেন। এই ১০ মিনিটে আপনার পছন্দের যেকোনো কাজ করতে পারেন। যেমন আমি গান, শুনি, কবিতা অবৃত্তি করি, বইয়ের কিছু পৃষ্টা করি অথবা কোরাতে এসে একটা লেখা লিখে ফেলি। আর ৫০ মিনিটের সেশন চলা কালে ওই সময়ের জন্য বরাদ্দ কাজটা ছাড়া আর অন্য কিছু একদম করা যাবে না। দুনিয়া কেয়ামত হয়ে গেলেও না।

      আর পড়ালেখাটাকে বিনোদনের মাধ্যম মনে করতে হবে। শুধু পড়ার জন্য নয় যেকোনো কিছু জ্ঞান অর্জনের জন্য করতে হবে। সব জায়গা থেকে জ্ঞান আহরণ করতে হবে মৌমাছির মতো। সুখের উপাদান বাড়াতে হবে জীবনে।

      যখন পড়ালেখাকে, কাজকে ভালোবাসবেন তখন পড়ালেখা, কাজ আপনাকে আনন্দ দিবে। আর যদি ব্রেকাপ করতে চান তাহলে পড়ালেখা, কাজও আপনাকে বিরহের কষ্ট দিবে। বিরহের কষ্টের পরিণতি অনেক ভয়ানক। ব্রেকাপ না করে ভালোবাসুন। ভালোবাসার সময় এখনই। নয়তো সারাজীবন বিরহ বেদনায় কাদঁতে হবে।

      আর হ্যাঁ লেখা শেষ করে বানান চেক করার অভ্যাস আমার নেই। বানান ভুলক্রমে ভুল হলে মন্তব্যে জানাবেন।

      হ্যাপি রিডিং 📙

      Professor Answered on May 13, 2024.
      Add Comment
    • RELATED QUESTIONS

    • POPULAR QUESTIONS

    • LATEST QUESTIONS

    • Your Answer

      By posting your answer, you agree to the privacy policy and terms of service.