কিভাবে স্মার্টফোনের ব্যাটারির চার্জ দীর্ঘস্থায়ী করা যায়?
কিভাবে স্মার্টফোনের ব্যাটারির চার্জ দীর্ঘস্থায়ী করা যায়?
১) ঠিক করে নিন স্মার্টফোনের পর্দা বা স্ক্রিণের উজ্জ্বলতা
আপনার স্মার্টফোনের স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা “বাই-ডিফল্ট” ভাবে সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকে। স্ক্রিন কিন্তু একাই ব্যাটারির অধিকাংশ চার্জ ব্যবহার করে। তাই ব্যাটারির স্থায়িত্ব বাড়াতে আপনার ফোনের স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা কমিয়ে সর্বনিম্ন লেভেলে রাখুন যা আপনার চোখের জন্য সাচ্ছন্দ্যময় হয়।
(২) স্ক্রিনের ডিসপ্লে টাইম কমিয়ে আনুন
অনেক সময় দেখা যায়,আমরা হয়তো শুধু সময় দেখার জন্যই ফোন চালু করি। সময় দেখতে কিন্তু বেশিক্ষন লাগে না,দেখেই হয়তো আপনি ফোনটি রেখে দিলেন। দেখা গেলো, স্ক্রিনের আলো তখনো জ্বলে আছে, কিছুক্ষণ পর নিভে গেল। এক্ষেত্রে আপনি স্ক্রিনের ডিসপ্লে টাইম কয়েক মিনিট না রেখে কমিয়ে আপনার পছন্দমত কয়েক সেকেন্ড-এ নামিয়ে আনুন। এতে আপনি অল্প সময়ের জন্য ফোন অন করে অফ করে দিলে সাথে সাথে ডিসপ্লে টাইমও স্বয়ংক্রিয়ভাবে কমে যাবে। বাড়বে আপনার ফোনের ব্যাটারির আয়ু।
৩) বন্ধ করে রাখুন অপ্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন
অনেক এপ্লিকেশন আছে যেগুলো যখন তখন আপনার ফোনে নোটিফিকেশন এলার্ট দিবে। বেশিরভাগ সময়ই এগুলো অপ্রয়োজনীয় এবং আপনার ফোনের ব্যাটারির চার্জ কমিয়ে দেয়, কারণ যখন এই নোটিফিকেশনগুলো আসে,তখন সারাদিন অনেকবার এগুলো স্বল্প সময়ের জন্য হলেও ফোনের স্ক্রিনকে আলো জ্বালাতে বাধ্য করে। এধরনের এপ্লিকেশনের নোটিফিকেশন ডিজ-এবল করে দিন।
(৪) ব্লু-টুথ, ওয়াই-ফাই বন্ধ করে রাখুন
পারতপক্ষে খুব দরকার না হলে ব্লু-টুথ, ওয়াই-ফাই অপশন বন্ধ করে রাখুন। কখনো যদি এরকম হয়,আপনার ফোনের চার্জ প্রায় শেষ, কিন্তু আপনি চার্জ দিতে পারছেন না, আবার ফোন অফ হয়ে গেলেও ঝামেলা হবে, সেক্ষেত্রে অবশ্যই ব্লু-টুথ এবং ওয়াই-ফাই অপশন বন্ধ করে দিন।
(৫) রিকুয়েস্ট অপশন বন্ধ রাখুন
অনেক এপ্লিকেশন আপনার অবস্থান নির্ণয়ের জন্য অনুমতি চাইবে যাতে সেগুলো আরো নির্দিষ্টভাবে কাজ করতে পারে। এটা হয়তো প্রয়োজনীয়, কিন্তু প্রতিবারই এপ্লিকেশনকে এই কাজটি করতে আপনার ফোনের জিপিএস চিপকে এক্টিভ করতে হয়। খুব দরকার না হলে এই অপশন বন্ধ করে রাখুন।
(৬) ইমেইল/ডাটা সিনক্রোনাইজেশন সময় বাড়িয়ে দিন
বেশিরভাগ স্মার্টফোন এমনভাবে ডিজাইন করা হয় যাতে আপনি প্রতি ১৫-৩০ মিনিট পর পর ইমেইল বা এপ্লিকেশন ডাটা চেক করতে পারেন। নিতান্তই দরকার না হলে, এই সময় ত্রিশ মিনিট থেকে বাড়িয়ে এক ঘন্টা পর পর করে দিন। এটা আপনার ফোনের ব্যাটারির আয়ু বাড়াতে যথেষ্ঠ কাজে দিবে।
(৭) শব্দ কমিয়ে রাখুন
ফোনের রিং-টোন সহ সব ধরণের শব্দনির্ভর অপশনের ভলিউম লেভেল কমিয়ে রাখুন।
(৮) ভাইব্রেশন মোড বন্ধ করে রাখুন
বিনা প্রয়োজনে ফোন ভাইব্রেশন মোডে রাখা উচিত নয়। এতে ব্যাটারি ও ফোন-উভয়ের স্থায়িত্ব হ্রাস পায়।
(৯) ব্যাটারিকে শীতল রাখুন
ফোনের ক্রমাগত ব্যবহার এর ব্যাটারিকে উত্তপ্ত করে দেয়,যার ফলে ফোনের গতি হয়ে যায় ধীর। মনে রাখবেন, উত্তপ্ত ব্যাটারি দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া গাড়িতে, পকেটে অনেক ক্ষণ থাকলে কিংবা অন্য কোন যন্ত্র যেমন ল্যাপ্টপের উপর রাখলে ব্যাটারি উত্তপ্ত হয়ে যেতে পারে। তাই ব্যাটারি ঠান্ডা রাখুন।
(১০) ফোন পুরোপুরি বন্ধ করে দিন
যেসব জায়গায় থাকলে আপনি নিশ্চিত যে বেশ কিছু সময় ধরে আপনি ফোন ব্যবহার করবেন না,যেমন-মিটিং রুম কিংবা সিনেমা হল, সেসব ক্ষেত্রে ফোন সুইচ অফ করে রাখতে পারেন।এছাড়া আপনার স্মার্টফোনের সাথে ইন্টার-এক্ট বা সংযোগ স্থাপন করে এরকম ইলেক্ট্রিক ডিভাইস বা গ্যাজেট থেকে ফোনকে দূরে রাখুন।