কি কি খাবার খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে?
কি কি খাবার খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে?
১) পাউরুটি
পাউরুটিতে রয়েছে ফ্রুক্টেন যা অনেকটা সময় পেটে থাকে, সহজে হজম হয় না। এতে করে ব্যাকটেরিয়া ফ্রুক্টেনকে ফারমেন্ট করে এবং গ্যাসের সৃষ্টি করে। এই গ্যাসের কারণে হজমে সমস্যা, পেট ব্যথা এবং পেট কামড়ানোর মতো সমস্যা শুরু হয় এবং পাকস্থলীর স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হয়। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়।
২) চকলেট
চকলেটও কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য দায়ী একটি খাবার। প্রতিদিন একটু চকলেট দেহের জন্য বেশ ভালো এর ফ্লেভানয়েড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কারণে। কিন্তু জার্মানির একটি গবেষণায় দেখা যায় নিয়মিত একটু বেশি পরিমাণে চকলেট খাওয়া হজম প্রক্রিয়া ধীর করে দেয়। এতে করেও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা শুরু হয়।
৩) কুকিজ
কুকিজ আসলে কার্বোহাইড্রেটের রিফাইন্ড রূপ। যদিও ময়দা বা আটা দিয়ে তৈরি কিন্তু রিফাইন্ডের কারণে এর ফাইবারের পরিমাণ অনেক কম এবং ফ্যাটের পরিমাণ বেশি। এটিও কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য দায়ী একটি খাবার।
৪) কাঁচা কলা
পাকা কলাতে স্যলুবল ফাইবারের মাত্রা অনেক বেশি এবং তা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে। কিন্তু অপরদিকে কাঁচা কলা কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য দায়ী একটি খাবার। তবে কাঁচা কলার নিউট্রিশন অনেক বেশি তাই কাঁচা কলা খাওয়া একেবারে বাদ না দিয়ে পরিমিত করুন।
৫) চিপস
চিপস মূলত তৈরি হয় আলু এবং কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ কিছু খাবার দিয়ে যাতে ফাইবারের পরিমাণ অনেক কম এবং ফ্যাটের পরিমাণ অনেক বেশি। আর অতিরিক্ত ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার হজমে সমস্যা করে। যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়।
৬) উচ্চমাত্রার প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার
ডিম, দুগ্ধ জাতীয় খাবার যেসকল খাবারে উচ্চমাত্রার প্রোটিন রয়েছে তা কোষ্ঠকাঠিন্যের সম্ভাবনা বাড়ায়। কারণ প্রোটিন অনেক সময় হজমে সমস্যা করে। তবে দুধ এক্ষেত্রে গরম দুধ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে বিশেষ সহায়তা করে।