– প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ধরে হাঁটুন। কম পক্ষে ৮ সপ্তাহ হাঁটার পর ফল পেতে শুরু করবেন।
– অফিসে কফি ব্রেক বা লাঞ্চ ব্রেকে নিজের ডেস্কে বসে না থেকে করিডরে হেঁটে নিতে পারেন। বাইরে খেতে গেলে হেঁটেই যান।
– প্রতিদিন খাতায় লিখে রাখুন কার সঙ্গে, কতক্ষণ, কত দূর হাঁটলেন।
– একা হাঁটতে ইচ্ছে না করলে বন্ধু বা বাড়ির কাউকে বলুন আপনার সাথে হাঁটতে। এতে আপনি হাঁটার প্রতি উত্সাহ পাবেন।
– প্রতিদিন হাঁটার পর ভাবুন আপনি হেঁটে কতটা ভালো আছেন। আপনার চেহারার কতটা উন্নতি হয়েছে।
– কোনো ওয়কিং ক্লাবে যোগ দিতে পারেন। এতে অনেক সঙ্গী পাবেন হাঁটার।
– প্রথম ৬ মাস প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটুন। এর জন্য একটা যেকোনো পুরস্কার নির্দিষ্ট করে রাখুন।
– কোনো একদিন হাঁটতে না পারলে পরের দিন একটু বেশি হাঁটুন।
– সাধারণত সকালবেলা হাঁটাই ভালো। তবে সময় না পেলে দিনের যেকোনো সময় হাঁটতে পারেন।
– বাড়িতেও যতটা সম্ভব হাঁটাহাঁটি করুন। টিভি, এসি ইত্যাদির রিমোট ব্যবহার না করে নিজে উঠে গিয়ে কাজ সারুন।
– যখন হাঁটবেন তখন কোনো সমস্যার কথা না ভেবে জীবনের ইতিবাচক দিকগুলো নিয়ে ভাবতে চেষ্টা করুন। মনে মনে গান গাইতে পারেন অথবা কবিতা আবৃত্তি করতে পারেন। অন্য চিন্তা মনে আসবে না।
– প্রতিদিন একই রাস্তায় না হেঁটে জায়গা বদল করুন। এতে একঘেয়েমি কাটবে।
– হাঁটার সময় গান শুনতে পারেন। মন খুশি থাকবে।
– সাথে অবশ্যই পানির বোতল রাখুন এবং হাঁটতে হাঁটতে হাঁপিয়ে গেলে পানি পান করুন।
– একবারে জোরে না হেঁটে একটু একটু করে হাঁটার গতি বাড়ান।
– হাঁটতে হাঁটতে নিঃশ্বাসের কষ্ট হলে গতি কমান এবং বিশ্রাম নিন।
– হাঁটতে গিয়ে পেশি বা শিরায় টান ধরলে, শরীর শরীর খারাপ লাগলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তার দেখান।
– হাঁটার আগে এবং পরে ওয়ার্ম-আপ এবং কুল ডাউন ব্যায়াম করে নিন। ওয়ার্ম-আপে কয়েকবার একই জায়গায় দাঁড়িয়ে লাফিয়ে নিন। আর কুল ডাউনে হাঁটা হয়ে গেলে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে দুই বার জোরে নিঃশ্বাস নিন।
– হাঁটার সময় পায়ের সঙ্গে সঙ্গে হাতও যেন সচল থাকে। এতে হাঁটায় গতি আসে।
– পেট যতটা সম্ভব ভেতরে ঢুকিয়ে সোজাভাবে হাঁটুন।