কীভাবে আমি অনেক ভালো শিক্ষাথী হতে পারব?
কীভাবে আমি অনেক ভালো শিক্ষাথী হতে পারব?
Add Comment
মানুষ একেকজন একেক রকম পরামর্শ দিতে পারে। তবে আমি আমার পড়ালেখায় নিচের ৪ টা জিনিষকে অধিক গুরুত্ব দিই। আলহামদুলিল্লাহ, আমি খারাপ না হলেও মোটামোটি ভালো শিক্ষার্থী।
- ইচ্ছা ঃ এটা একটা ভাইটাল ফ্যাক্টর। অনেক সময় দেখবেন আপনার বাবা বা মা আপনাকে ঠেসে পড়তে পাঠাচ্ছে কিন্তু আপনার পড়ার ইচ্ছা নাই। তখন দেখবেন যা পড়ছেন সবই ছাইপাশ লাগছে। তাই পড়ার জন্য আগে মনো:স্থির করতে হবে।
- মনোযোগ ঃ পড়ার জন্য নিয়ত করেছি। এবার পড়তে বসলে পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। একটা কথা মাথায় রাখবেন, মনোযোগ ছাড়া ১ ঘন্টা আর পূর্ণ মনোযোগসহ ১০ মিনিট সমান। পূর্ণ মনোযোগ আনলে আপনার পড়া দ্রুত হবে। বেশি পড়াশোনা করতে পারবেন।
- স্থিতিশীল পরিবেশ ঃ পড়াশোনা করছি কিন্তু আমার চারপাশে হট্টগোল চলছে। এতে পড়া হবে না। এতে আপনি পূর্ণ মনোযোগ দিতে পারবেন না। তাই পড়াশোনার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ আপনাকে বেছে নিতে হবে। আর যেসব কারণে আপনার মনোযোগ ক্ষুন্ন হতে পারে তা থেকে বেঁচে থাকবেন। যেমন : মোবাইল। অনেক সময় মোবাইলের একটা নোটিফিকেশন সাউন্ড পড়ার পূর্ণ মনোযোগকে নষ্ট করে দিতে পারে।
- উপযুক্ত পরিশ্রম ঃ পরিশ্রম না করলে ছাত্রজীবন বৃথা। তাই জীবনে পরিশ্রম করতে হবে। পড়ার ক্ষেত্রে নিজেকে ছাড় দেওয়া যাবে না। আপনি যদি উচ্চমাধ্যমিক এর ছাত্র হন তবে নিজের প্রতি এক কথায় অমানবিক নির্যাতন চালাতে হবে। শরীর কিছুটা পরিশ্রম করে হাপিয়ে যাবে তবে নিজেকে আটকানো যাবে না। এভাবেই পড়াশোনা করেছি। শরীর সারাদিন শেষে প্রচুর ক্লান থাকতো তারপরেও অদৌম ইচ্ছা নিয়ে আবার পড়ার টেবিলে গিয়ে বসেছি। তবে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে, টর্চার চালানো ভালো তবে রেস্ট নেওয়াও প্রয়োজন। সপ্তাহের ৬ দিন টর্চার চালাবেন একটা দিন একটু হলেও রেস্ট নিতে হবে। তাছাড়াও যখন দেখবেন শরীর তার সর্বোচ্চটা দিয়ে ফেলেছে, সেদিন আর নয়। যেমন : প্রচন্ড মাথা ব্যাথায় চোখ খুলে তাকাতে পারছেন না।
আমার স্কুল ও কলেজ জীবনে এভাবেই পড়াশোনা চলেছে। অনেকে জিজ্ঞাসা করতো, দৈনিক কত ঘন্টা তুমি পড়ো? আমি বলতাম হয়, শরীর যতক্ষণ কুলায় বা যতক্ষণ আমি পড়ে তৃপ্ত না হই। যাই হোক, একেবারে শুরু থেকে এতোকিছু হবে না। ধীরে ধীরে সব হবে। তবে লেগে থাকুন। আপনার সফলতা আসবেই।