কীভাবে শত্রুসংখ্যা কমাবো এবং কাউকে শত্রু বানানো থেকে বিরত থাকতে পারব?
- কথা কম বলুন।কারণ কথায় আছে- বোবার কোন শত্রু নেই।
- যেখানে-সেখানে যার-তার সাথে তর্ক বিতর্কে জড়িত হবেন না।
- কারো কথার ভিতরে না বুঝেই বাম হাত ঢুকাবেন না।
- যে বই পড়ে তার কোন শত্রু নেই।কাজেই বই পড়ুন।
- কারো সাথে দাম্ভিকতাপূর্ণ ও অহংকারমুলক কথাবার্তা বলা পরিহার করুন।
- কাউকে কখনো ভুলেও ব্যক্তিগত আক্রমণ করবেন না।
- কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করে কথা বলা যাবে না।
- কারো প্রিয়জন অথবা কারো প্রিয় জিনিস নিয়ে কটুক্তি করা যাবে না ও ছিনিমিনি খেলা যাবে না।
- কখনো কখনো শত্রুকে ‘হ্যাঁ’ বলুন;কিন্তু বন্ধুকে ‘না’ বলুন।
- কারো সাথে বিরোধ জিইয়ে না রেখে,বরং তার সাথে বন্ধুত্বের অভিনয় করে যান।
- একটা কথা আছে বন্ধুকে কাছে রাখুন;কিন্তু শত্রুকে আরো বেশি কাছে রাখুন।
- তর্কের খাতিরে হোক,গুরুত্বের খাতিরে হোক, টেকনিক্যাল কারণেই হোক,অথবা যে কোন কারনেই হোক,শত্রুকে বেশি বেশি ভালোবাসতে হয়।
- শত্রুর সাথে চোখাচোখি করুন।
- মাঝে মাঝে শত্রুর সাথে ইচ্ছাকৃতভাবে দুর্বল হয়ে যান।
সৎ এবং খরাপ দুইটারই সমাজে টিকে থাকা কঠিন। খারাপ প্রতিষ্ঠা করতেও কঠিন ভালো প্রতিষ্ঠা করতেও কঠিন। আপনি ভালো কাজ করতে যাবেন সমাজ আপনাকে বাঁধা দিবে খারাপ কাজ করতে যাবেন তবুও সমাজ বাঁধা দিবে। গল্পের মাধ্যমে বুঝিয়ে বলছি।
আসাদ নুর নামের এক নাস্তিক অনেক সাধনার পর জানতে পারে ইসলাম একটি কুসংস্কারাচ্ছন্ম মিথ্যা ধর্ম। তাই সে মানুষের উপকার করার জন্য মানুষের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় যে, ইসলাম একটি কুসংস্কার। তাই তার উপর সমাজ খেপে গিয়ে শুরু করে মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন। ছাড়তে হয় নিজ দেশ।
অপরদিকে, মিজানুর রহমান আজহারী নামের এক ভন্ড আলেম, ভন্ডামি করে সমাজে টিকে থাকতে না পেরে চলে যায় মালোশিয়া।
আপনি যা করবেন, তাতেই সমাজ অসন্তুষ্ট থাকবে। এটাই সনাজের নিয়ম। তাই কে কি ভাবলো সেটা চিন্তা না করে, আপনার বিবেক যেটা বলে সেটা শুনেন।