কীভাবে সব কিছু থেকে মানসিক শান্তি পাবো?
কীভাবে সব কিছু থেকে মানসিক শান্তি পাবো?
শুরুতেই নিজের দুই একটা কথা বলতে চাই, আমি ভালো আছি। সুন্দর আছি, শান্তিতে আছি। কোনো চিন্তা ভাবনা নাই। আপন মনে আছি। বই পড়ি, মুভি দেখি, গান শুনি। পকেটে টাকা থাকলে চলে যাই সমুদ্র অথবা পাহাড়ে। আর যদি খুব খুশিতে থাকি তাহলে চলে যাই সুন্দরবন। প্রকৃতি আমার দারুণ লাগে। আমাকে পাগল করে দেয়। মানুষের সঙ্গের চেয়ে প্রকৃতি ভালো। মানুষ কষ্ট দেয়, অবহেলা করে, অপমান করে। আর প্রকৃতি দু:খ, কষ্ট, হতাশা সব ভুলিয়ে দেয়। মানুষ হিসেবে উঁচুতে নিয়ে যায়। মহৎ হতে শেখায়। ক্ষমা করে দিতে শিখায়।
আপনি কি গৌতম বুদ্ধের জীবনী পড়েছেন? আপনি কি যীশুর জীবনী পড়েছেন? অথবা মাদার তেরেসার জীবন যাপন সম্পর্কে জানেন? যাইহোক, মানসিক শান্তির জন্য সহজ সরল জীবন যাপন করতে হবে। জীবন থেকে লোভ, হিংসা ও উচ্চাকাঙ্খা সম্পূর্ণ বাদ দিতে হবে। অর্থনীতির সুত্রকে ভুল প্রমাণিত করতে হবে। চাহিদা। চাহিদা যেন না বাড়ে। আমার এক শিক্ষক সব সময় বলতেন, বাবারা লাইনে থাকিস। আপনাকে লাইনে থাকতে হবে। লাইনচ্যুত হলেই বিপদ। বিরাট বিপদ। কাজেই সাবধান থাকতে হবে।
আসলে আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য কিছু বিষয় জানা জরুরী। যেমন, আপনার বয়স কত? বর্তমানে কি করছেন? আপনি কি স্টুডেন্ট না চাকরি করছেন? আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি? জীবনে বড় বড় ভুল কি করেছেন? অথবা জীবনে সবচেয়ে মন্দ কাজ কি কি করেছেন? আপনার বয়স কত? আপনি কি কড়া ধার্মিক? পীর ফকির ঝাড়ফুঁক বিশ্বাস করেন কিনা! আপনার পছন্দের বিষয় কি? এই বিষয় গুলো জানতে পারলে সুন্দর করে উত্তর দিতে পারতাম।
মিথ্যা বলবেন না। সৎ জীবনযাপন করবেন। কারো ক্ষতি করবেন না। মানুষকে ভালোবাসবেন। সব সময় মানুষের পাশে থাকিবেন। অসহায় ও দরিদ্র মানুষকে সাহায্য সহযোগিতা করবেন। সময় অপচয় করবেন না। টাকা ইনকাম করবেন। দুই হাতে টাকা খরচ করবেন। কৃপনতা করবেন না। নিষ্ঠুর হবেন না। সব সময় মানবিক এবং হৃদয়বান থাকিবেন। পরিবারের প্রতি, সমাজের প্রতি এবং দেশের প্রতি আপনার যা দায়িত্ব সেটা যথাযথ ভাবে পালন করবেন। দায়িত্ব পালনে ভয় পাবেন না। সাহসী হবেন। সৎ মানুষেরা সাহসী হয়।
সময় পেলেই আকাশ দেখবেন। সবচেয়ে ভালো হয় যদি ভোরের আকাশ দেখতে পারেন। ভোরের আকাশ দেখা দারুণ ব্যাপার। পৃথিবীর সেরা মুভি গুলো দেখবেন। প্রতিটা মুভি কমপক্ষে তিনবার করে দেখবেন। ভালো ভালো বই গুলো পড়বেন। ভালো ও বুদ্ধি মানুষদের আড্ডা দিবেন। কোনো প্রকার কুসংস্কারে বিশ্বাস করবেন না। উন্নত ও আধুনিক জীবন যাপন করবেন। নিয়মিত পত্রিকা পড়বেন এবং প্রতিদিন দুটা টিভি চ্যানেলের নিউজ দেখবেন। ভ্রমণ করবেন। নিজের ভেতরে থাকা ক্ষুদ্রতা, তুচ্ছতা একদম ডিলিট করে দেন। এসব করলেই মানসিক শান্তি পাবেন। একটা গান আছে শুনেছেন, নীড় ছোট ক্ষতি নেই। আকাশ কত বড়।
আপনি যখন ভালো কাজ করবেন, তখন আপনি মানসিক শান্তি পাবেন। ছাড় দেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। ছাড় দিলে জীবন যাত্রা সহজ ও সুন্দর হবে। সব সময় মানুষকে আর্থিক সহয়তা করবেন। কারো কাছে কখনো কিছু আশা করবেন না। প্রতিদান কামনা করবেন না। শুধু মানুষের জন্য করে যাবেন। মাদার তেরেসার কথা ভেবে দেখুন, কুষ্ঠ রোগীদের নিজ হাতে সেবা করেছেন। গৌতম বুদ্ধ শিখিয়েছেন কিভাবে শান্তি ও আনন্দে থাকা যায়। যীশু! যার তুলনা হয় না। তার বানী গুলোকে হৃদয়ে ধারণ করুন। সকালে ঘুম থেকে উঠেই চিৎকার করে বলুন। লাইফ ইজ বিউটিফুল। আমি কারো ক্ষতি করবো না। কাউক ঘৃনা করবো না। সবাইকে ক্ষমা করে দিব।