কীভাবে স্মার্ট হওয়া যায়?
১. পরিচ্ছন্নতাঃ
জুতো থেকে পারফিউম, হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। সবটাতেই নজর রাখতে হবে। অফিস বেরোনোর আগে দেখে নিলেন জুতোটির কালো উজ্জ্বলতা কমে গেছে। শুধু পাঁচ মিনিট টাইম বার করুন, একটু ঘসামাজা, একটু পালিশ করে নিন। আর হয়ে যান স্মার্ট।
কিংবা ধরুন বাসের ভিড়ে নাজেহাল অবস্থা। জীবনে কোনদিন হাতের তলায় মানে বগলে পারফিউম মাখেন না।
কে আপনাকে স্মার্ট ভাববে বলুন তো? খুব বেশি তো দাম নয়, মাসে এক প্লেট বিরিয়ানির টাকা বাঁচিয়ে কিনে নিন বাজারচলতি কিছু বডিস্প্রে। ব্যাস কেল্লাফতে!
এবার অনেকেই মাথার চুলের দুই সাইট ছেঁটে দিয়ে, তাতে সবুজ, পাতাবাহারি লাল-নীল কিছু রং মেখে, পঁচিশটা জায়গা ফাটা এমন জিন্স প্যান্ট পড়ে নিজেকে স্মার্ট করে তোলার কথা ভাবেন। ভালো।
তবে নিজেরাই নিজেকে স্মার্ট ভাবেন। লোকে কস্মিন কালেও সমীহ করে কি সন্দেহ। মনে রাখবেন, স্মার্ট হওয়া মানে ফিটফাট থাকা। অতিরিক্ত কোন কিছুই ভাল নয়।
এবার আসা যাক মহিলাদের কথায়। তারা চেষ্টা করেন পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার।
কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় অপরিচ্ছন্নতা জন্য রান্না শালায় উঁকি দিয়েছে আরশোলা ও ইঁদুরের ছানারা। তা ম্যাডাম, আপনি পরিষ্কার থাকলে বাড়িশুদ্ধ লোক রোগ মুক্ত থাকবে। শুধু কাজের মাসির আশায় সব ফেলে রাখবেন না। তাহলে আপনিও সবার চোখে স্মার্ট হয়ে থাকবেন।
অমুক বাড়ির গিন্নি দেখার মতন রান্নাঘর, বাড়ি ঘরদোর সাজিয়েছে – শুনবেন।
যারা সদ্য মা হয়েছেন তাদের নজর রাখতে বলব বাচ্চাদের ন্যাপকিনের দিকে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অবশ্যই স্মার্ট করে তোলার একটি ধাপ বই কি!
২. স্মাইলি লুকস্ঃ
‘গুড লুকিং’ শব্দটির সাথে আপনারা নিশ্চয় পরিচিত। শুনে থাকবেন। অনেকে মনে করেন ফর্সা, দেখতে সুন্দর, হ্যান্ডসাম হওয়া মানেই গুড লুকস্। আদপেই তা নয়।
মুখের মধ্যে সবসময় একটা আলতো হাসি যেন লেগে থাকে। সে ছেলে হোক বা মেয়ে উভয়ের জন্যই প্রযোজ্য। এই হাসির জন্য আপনি উল্টো দিকের মানুষটির কাছে হয়ে উঠবেন আকর্ষণীয়।
শুধু গম্ভীর থাকলে চলবে না, আভিজাত্য ভাব থাকবে, সাথে একটু চপল হাসি অর্থাৎ মিশুকে ভাব রাখবেন আপনার মুখে।
এই হাসির অভ্যাস জানা না থাকলে কিছু ফর্মাল ফেস যোগা হয়ে থাকে। সকালে উঠে নিজেকে দশ মিনিট সময় দিয়ে প্র্যাকটিস করুন। সতেজ মুখমন্ডল এর সাথে আলতো হাসি নিজেকে স্মার্ট করে তোলার সবচেয়ে বড় স্টেপ।
অবশ্য আপনার দাঁত মাজার ও পরিষ্কারের অভ্যাস না থাকলে দাঁত চেপে হাসুন। অন্যথায় এই পয়েন্টে স্কিপ করুন। নয়তো সর্বনাশ।
অবশ্য আশা করা যায় যারা স্মার্ট হতে চান, তারা নিজের প্রতি যথেষ্টই যত্নশীল।
শুধু দাঁত নয়, নিজের শরীরেও যত্ন নেবেন। প্রতিদিনের সামান্য ব্যায়ামও আপনাকে করে তুলবে সুন্দর চেহারার। জিরো ফিগারের কোনো প্রয়োজন নেই। আপনাকে কেউ করিনা কাপুর কিংবা সলমন খান হতে বলেনি।
৩. চোখে চোখ রেখে কথা বলাঃ
ধরুন আপনি ডেটে গেছেন। মাথা নিচু, কিছুটা সাই অর্থাৎ লজ্জালজ্জা ভাব, কিছুটা অপরিস্থিতিতে আছেন এমন স্বভাব, যেটা আপনার চোখে মুখে ফুটে উঠছে, সেই ডেট কি আপনার জন্য বেটার হল ? তার চেয়ে এক-দুকাপ কফি, সাথে চোখে চোখ রাখুন, কথা বলুন।
উলটো দিকের মানুষটিকে একটি প্রশ্ন করে তার দিকে তাকান সোজাসুজি ভাবে।
দেখবেন সে অটোমেটিক্যালি সমস্ত কিছু বলছে। তার বলা থামামাত্র আবারো তাকান দৃঢ় ভাবে। সে আরো কিছু বলবেই। এটাই সাইকোলজি।
এক্ষেত্রে একাধারে আপনি স্বল্পভাষী, আবার অন্যদিকে স্মার্ট, চতুর বুদ্ধি ও গম্ভীরতার ও পরিচয় দিলেন। দেখুন তো! ডেট টি ডেটের মতো হয় কিনা!
৪. সোজা হয়ে বসা ও হাঁটাঃ
আমাদের অনেকের মধ্যেই এই ব্যাপারটা তো থাকেই না। কিন্তু স্মার্ট হবার চাবিকাঠি হল সোজা হয়ে বসা ও হাঁটা।
এতে যেমন শিরদাঁড়া সোজা ও মজবুত থাকে, তেমনি আপনাকে দৃঢ়, কনফিডেন্ট, মনোযোগী, বুদ্ধিমান এবং সর্বোপরি স্মার্ট লাগবেই।
হাঁটার সময় সোজা হয়ে, গলা উঁচু করে হাঁটুন। কোথাও প্রবেশের সময় চোখ সোজা কিন্তু মাথা নিচু করে প্রবেশ করুন।