কুকুর পালন সম্পর্কে কি বলে ইসলাম?
কুকুর পালন সম্পর্কে কি বলে ইসলাম?
কুকুর পোষ্য বানানো হারাম। যেহেতু কুকুর মানুষের ভীতিগ্রস্ত করে এবং এর কারণে ফেরেশতারা ঘরে প্রবেশ করে না, এর মধ্যে নাপাকি ও নোংড়ামি তো রয়েছেই, উপরন্তু কুকুর পোষ্যকারীর সওয়াব প্রতিদিন দুই কিরাত করে কমে যায়। হ্যাঁ, কেউ যদি শিকারের জন্য, চড়ানোর জন্য অথবা ক্ষেত পাহাড়া দেয়ার প্রয়োজনে কুকুর পোষ্য বানায় তার কথা ভিন্ন।
• কুকুর কোন শিকার করলে অথবা কোন শিকার তার মুখে আটকে রাখলে, তা সাত বার ধোয়া জরুরি নয়, কারণ মানুষের সুবিধার জন্যই কুকুরের শিকার বৈধ করা হয়েছে।
• যদি কোন ব্যক্তি লাঠি বা এ জাতীয় কিছুর দ্বারা শিকার করে, আর ধারালো দিক যদি শিকারের গায়ে আঘাত করে, তবে তা হালাল, অন্যথায় হালাল নয়, ধরে নেয়া হবে তা আঘাতের কারণে মারা গেছে।
• শিকার নিয়ে খেলা করা :
খেলতামাশার জন্য শিকার করা ও ছেড়ে দেয়া এবং তার দ্বারা কোনোভাবে উপকৃত না হওয়া হারাম।
• শিকারের সময় অথবা যবেহ করার সময় রুহ বের হওয়ার পূর্বে পশু থেকে যে রক্ত বের হয় তা নাপাক, এর দ্বারা উপকৃত হওয়া হারাম।
• লুণ্ঠিত অথবা চুরিকৃত অস্ত্র দিয়ে শিকার করা হালাল কিন্তু শিকারকারী গুনাহগার হবে।
• সালাত ত্যাগকারীর শিকার বা যবেহ করা পশু হালাল নয়, কারণ সে কাফের।
• পাখি দ্বারা বাচ্চাদের শান্তনা দেয়ার বিধান :
বাচ্চাদের শান্তনা দেয়ার জন্য পাখি শিকার করা বৈধ। কিন্তু বাচ্চাদের দেখে রাখতে হবে, যাতে সে শিকারকে কোন কষ্ট না দেয় কিংবা ক্ষুধার্থ না রাখে।
• নিরাপরাধ ব্যক্তির দিকে অস্ত্র তাক করা বা অস্ত্র দিয়ে তার দিকে ইশারা করা মসকরা বা সত্যিসত্যি উভয় অবস্থাতেই হারাম।