কোন কোন ব্যাপারে কখনো লজ্জা পাওয়া উচিত নয়?
কোন ব্যাপারেই লজ্জা পাওয়া উচিৎ নয়। এর মানে এই নয় যে, ল্যাংটা হয়ে বাজারে বাজারে ঘুরবেন। তবুও তিনটা পয়েন্ট বলি, যেগুলোতে মোটেও লজ্জা পাওয়া উচিৎ নয়।
১.মেয়েদেরকে দেখে মোটেও লজ্জা পাওয়া উচিৎ নয়। আমার নিলয় নামের এক বন্ধু ছিল, মেয়েরা গেটের সামনে দাড়িয়ে থাকলে, সে লজ্জায় গেট দিয়ে স্কুলে প্রবেশ করতে পারতো না।
এতে তাঁর অনেক্ষণ সময় বাহিরে কাটাতে হতো। আর স্কুলের পড়া পারলেও মেয়েদের কারনে সে ক্লাসে তার পড়া দিতো পারতো না। স্কুলে গেলে নববধূর মতো লজ্জায় লাল হয়ে যেতো। আর স্কুলের এক কোনে একা একা বসে থাকতো।
মেয়েদের কারনে সে ক্লাসে কথা বলতেই পারতো না, তোতলামু করতো। প্রস্রাব-পয়াখানা ধরলেও মেয়েদের কারনে সে বাথরুমে যেতে পারতো না। লজ্জায় স্কুলে পারতো না খেলাধুলা করতে।
স্কুলের ভিতর একটা বিরক্তি চলে আসে তার মেয়েদের কারনে। এই লজ্জার কারনে সে স্কুল ফাকি দিতে শুরু করে। অবষেশে স্কুলটাই বাদ দিয়ে দেয়৷
২.গরীব ঘরে জন্ম নেওয়ায় লজ্জা পাওয়া উচিত নয়। পৃথিবীতে অনেক মানুষ আছে, যারা গরীব হওয়ার কারনে মাথা উঁচু করে কোথাও দাড়াতে পারে না। সব জায়গায় নিজেকে ছোট করে দেখে।
অন্যের সাথে নিজেকে সবসময় কম্পেয়ার করে। ওর গাড়ি আছে, আমার গাড়ি নেই কেন? ওর সুন্দর জামা আছে, আমার নেই কেন? ইত্যাদি। এইসব জায়গায় মোটেও লজ্জা পাওয়া উচিত নয়।
মাথা উঁচু করে দারাতে হবে সব জায়গায়। মনে রাখবেন, ধনী-গরীব, কালো-ফর্সা সবাই এই দুনিয়ার সামান্য অতিথি মাত্র। তার আসল ঠিকানা সেই কবর। যেখানে থাকবে না এসি রুম, থাকবে না কোন বিল্ডিং। থাকবে চারদিকে মাটি মাটি আর মাটি।
৩.বক্তৃতা দিতে লজ্জা পাওয়া উচিত নয়। সুযুগ পেলে বক্তৃতা দেন, এটা হাত ছাড়া করা মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। এতে আপনার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে। জীবনকে সমৃদ্ধ করতে হলে জনসন্মুখে আপনাকে বক্তব্য দিতেই হবে।
আপনাকে ৩টি ট্রিকস দিবো। যেগুলো আপনার লজ্জা ভাঙ্গাতে সাহায্য করবে। প্রথম প্রথম একটু খারাপ লাগলেও কয়েকদিনের ভিতর তা উধাও হয়ে যাবে। লজ্জা ভাঙ্গানোর উপায়ঃ
১.চোখে চোখ রেখে কথা বলুন।
২.যাদেরকে দেখে লজ্জা পান তাদের সংস্পর্শে থাকার চেষ্টা করুন।
৩.এবং তাদের সাথে বেশি বেশি কথা বলুন।