কোন তথ্যগুলো সবার জানা উচিত?

    কোন তথ্যগুলো সবার জানা উচিত?

    Doctor Asked on March 14, 2024 in অনুসরণ.
    Add Comment
    1 Answer(s)

      দেশে পেট্রোল মজুদ আছে ১৩ দিনের, অকটেন ১১ দিনের— এই শিরোনামে দ্য ডেইলি স্টার বাংলা এক প্রতিবেদন প্রকাশ করার কিছুক্ষণ পর সরিয়ে ফেলছে।

      আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে লিখেছে, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল এর কাছে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ চেয়েছে। জাপানের কাছে ঋণ চেয়েছে ১ বিলিয়ন ডলার।

      কার্ব মার্কেটে আজকে প্রতি ডলারের জন্য গুণতে হয়েছে ১১৪ টাকা। দেশের ব্যাংকগুলোকে বিদ্যুৎ খাতে ২৫ শতাংশ ও জ্বালানি খাতে ২০ শতাংশ ব্যয় কমানোর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

      এইতো মাত্র এক সপ্তাহে আগে চট্টগ্রামের ইউরিয়া সার কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে দেশের সবচেয়ে বড়ে ইউরিয়া সারকারখনা জামালপুরের যমুনায়ও বন্ধ হওয়ার পথে।

      গত দুই মাসে আড়ং এর দুধের দাম বেড়েছে লিটার প্রতি ১৫ টাকা। প্রতি ২ লিটার পানির বোতলে দাম বেড়েছে ৫ টাকা। এছাড়া তেল, সাবানসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ১০ শতাংশ থেকে শুরু করে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। কোন কোন পণ্যের দাম পূর্বের মূল্যের দিগুণ হয়েছে। ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি দাম বেড়েছে দিগুণ। লোডশেডিং-এর এক সপ্তাহের মধ্যে ফ্যানের দাম দিগুণ হয়ে গেছে।

      বাংলা রেস্তোরাঁগুলোতে আগে যে পরোটা, রুটির দাম ছিলো ৫ টাকা তা এখন ১০ টাকায় খেতে হচ্ছে। টাকা এখন কাগজ হওয়ার পথে। তাই নয় কী!

      একাধিক মেগা প্রকল্পের খরচ বেড়েছে ১০ শতাংশের বেশি। গত কয়েক বছরে বৈদেশিক ঋণ বেড়েছে আকাশচুম্বী। দুর্নীতি আর বিদেশে অর্থ পাচার হয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকা। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বার্ষিক নিট বিদেশি ঋণ গ্রহণের (গৃহীত ঋণ থেকে পরিশোধ বাদ দিয়ে) পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৯১০ কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে ২০ গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ কোটি টাকা। ঋণ গ্রহণের পরিমাণ ২০ গুণ বাড়লেও পরিশোধের পরিমাণ বেড়েছে মাত্র দ্বিগুণ। অর্থাৎ প্রতিবছর বছর বিশাল অঙ্কের ঋণের বোঝা দেশের অর্থনীতির ওপর চাপছে। মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের জন্য ১৪০ বিলিয়ন ডলার ঋণ নেয়া হয়েছে।

      এই মেগা প্রকল্পের জন্য নেয়া বৈদেশিক ঋণের বেশির ভাগের গ্রেস পিরিয়ড শেষ হবে আগামী বছরের মাঝামাঝিতে। তারপর থেকে কিস্তিতে বিশাল অংকের টাকা সুদসহ প্রতি বছর পরিশোধ করতে হবে। শুধু রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের জন্যই কেবল ২০২৩ সাল থেকে বছরে ৫৬৫ মিলিয়ন ডলার সুদ (মূল ঋণ বাদে) দিতে হবে।

      এই মুহূর্তে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ আছে ৩৯ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলে (ইডিএফ) বিনিয়োগ করা সাড়ে ৭ বিলিয়ন ডলার বাদ দিলে থাকে ৩২ বিলিয়ন ডলার সামথিং। এই রিজার্ভ মুদ্রা দিয়ে আমদানি ব্যয় মিটানো যাবে ৪-৫ মাসের।

      ডেইলি স্টার প্রতিবেদন করে আবার সরিয়ে ফেলে, প্রথম আলো এসব বুঝেও এড়িয়ে যায়, অন্যেরা সাহস পায় না প্রতিবেদন ছাপাতে। এভাবে আর কতদিন লুকোচুরি চলবে?

      গণমাধ্যম এড়িয়ে গেলে যাক, যাঁরা এসব বুঝেন, জানেন। তারা লেখালেখি করেন। অন্যেকে জানান দেশের বর্তমান অবস্থা। এ দেশ আমাদের প্রত্যকের। শ্রীলঙ্কা হলে আমাদের ভোগতে হবে, আবার সিঙ্গাপুর হলেও আমরাই আরামে থাকবো!

      Professor Answered on March 14, 2024.
      Add Comment
    • RELATED QUESTIONS

    • POPULAR QUESTIONS

    • LATEST QUESTIONS

    • Your Answer

      By posting your answer, you agree to the privacy policy and terms of service.