কোন ‘দশটি সত্য’ প্রত্যেককে জীবনে গ্রহণ করা উচিত?
কোন ‘দশটি সত্য’ প্রত্যেককে জীবনে গ্রহণ করা উচিত?
- কোনো কিছুই স্থির না, সবই পরিবর্তনশীল।
এই ধরুন, আমরা এখানে ছিলাম না। তারপর আমরা এখানে আছি মানে আবার কিছুক্ষণ পর হয়তো আমরা এখানে নাও থাকতে পারি। সুতরাং, আমরা সবকিছু বিবেচনা করি ব্যর্থতা আর সফলতাকে কেন্দ্র করে, এটা ভালোও হতে পারে, খারাপও হতে পারে। আমাদের পরিবার, বন্ধু, আত্মীয়-স্বজন, দেশের এই অবস্থা, চাকরি-বাকরি সবই ক্ষণস্থায়ী। সবকিছু একদিন পরিবর্তন হবেই।
2. আপনি নিজেই নিজের জন্য দায়ী।
দিনশেষে আপনার সব কার্যকলাপই নিজের উপর প্রভাব ফেলবে। চিরন্তন সত্য কথা এই যে, আপনার চিন্তা-ভাবনা এবং কার্যকলাপই সব-সময় আপনাকে পেছন থেকে খোপ করে ধরে ফেলে। কাজেই, নিজের জীবনের ভার নিজেকেই নিতে হবে বা হয়।
3. সবার প্রতি দয়াশীল হওয়াটা খুব জরুরী। কারণ আমরা সবাই কিছু না কিছু নিয়ে সমস্যায় আছি।
কাউকে দেখে মনে হতেই পারে যে সে সুখেই আছে, কিন্তু ধ্রুব সত্যি এই যে, সবাই কিছু না কিছুর জন্যে যুদ্ধ করে যাচ্ছে। এটা হতে পারে টাকা-পয়সা, সংশয়-অবিশ্বাস, একাকীত্ব, আত্মসম্মান, রোগ-বালাই ইত্যাদি। পরিচিত-অপরিচিত সবার প্রতিই সদয় হওয়া উচিত, কারণ আপনি জানেন না কে কোন সমস্যার সাথে লড়ছেন।
4. সবাই আপনাকে পছন্দ করবে না। কেউ কেউ আপনাকে অপছন্দও করবে।
আপনি দেখতে যতই সুন্দর বা স্মার্ট হোন না কেন, আপনার যতই মহৎ উদ্দেশ্য থাকুক না কেন, কেউ আপনাকে ভালবাসবে আর কেউ আপনাকে দুই চোখের কাঁটা মনে করবে। এটা মেনে নিতেই হবে। আর সবাইকে খুশি করার চেষ্টা করবেন না।
5. সফলতা আপনার নিজের পাল্লাতেই মাপতে হবে।
ধরেই নিন, কেউ আপনার সাফল্যকে একটা স্ট্যান্ডার্ড মানদণ্ডে ফেলবে না। কিন্তু আপনাকে ঠিকই আপনার প্রাপ্যটা যাচাই করে নিতে হবে। অন্যথায়, অন্যের দেয়া ভুলভাল বিচারকার্য বা মানদণ্ড মেনে চলতে হবে এবং আপনি আর নিজের মূল্যটা বুঝতে পারবেন না।
6. আপনার এমন একটি সত্ত্বা আছে, যার সম্পর্কে আপনি অবগত নন।
আপনি যদি কখনো শুনেন যে মানুষ আপনাকে নিয়ে আসলে কী চিন্তা করে, বিশেষ করে, আপনি যা শুনছেন তা তাদের বিবেক-বুদ্ধিহীনতার পরিচয় তুলে ধরে, ঠিক তখনই আপনি আপনার ভেতরের সত্ত্বাটাকে দেখতে পারবেন। হয় ক্ষেপে যাবেন, না হয় কিছু মনে করবেন না। একটা কিছু হবেই।
7. আপনি যে নিজেকে বিশেষ কিছু ভাবেন, এটা আচরণেও প্রমাণ দিন।
আমরা মনে মনে ভাবি যে আমরা সবাই ইউনিক, কিন্তু মাঝে মাঝে দেখা যায় আমরা ভেড়ার মতো কাজ করে বেড়াচ্ছি। নিজের বিশেষত্বকে বোঝার চেষ্টা করুন এবং সেই মোতাবেক কাজ করুন।
8. জীবন থেকে কোন মুক্তি নেই।
সে কারণেই সবসময় কাজের মধ্যে ডুবে থাকবেন না। জীবনকে একঘেয়ে বা বিভিন্ন জটিলতা থেকে মুক্তি দিতে বিনোদন খুব করে প্রয়োজন। ছুটি কাটানো, বিনোদন এগুলো জীবনে একটা কমার মতো। তাই কাজের পাশাপাশি কী করে জীবনকে উপভোগ করা যায় সেটাও জানতে হবে।
9. সব সময় ধৈর্য ধরতে হবে।
কখনোই কোনো কিছু নিয়ে তাড়াহুড়ো করবেন না। ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে চিন্তে আগাতে হবে। তবেই সবচেয়ে কঠিন সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। কেবল ধ্যৈর্যধারণেই সুফল লাভ করা যায়।
10. জীবনকে খুব সিরিয়াসলি নেয়ার কিছু নাই।
কারণ, আমাদের সকলকেই একদিন মরতে হবে। আজ মরলে কাল দুইদিন, তাই এতো সিরিয়াসলি নেয়ার কিছু নাই। জীবনকে ভালবাসুন, উপভোগ করুন। সফলতা-ব্যর্থতা থাকবেই, এ নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছু নেই বরং বেঁচে থাকাটাই জরুরী। সবকিছুই পরিবর্তনশীল। তাই মন খুলে হাসুন।