ক্যান্সার প্রতিরোধের উপায় কি?

ক্যান্সার প্রতিরোধের উপায় কি?

Add Comment
1 Answer(s)

    “ক্যান্সার” কথাটি এসেছে কাঁকড়ার ল্যাটিন প্রতিশব্দ থেকে, কারণ অনেকটা কাঁকড়ার মতোই নিঃশব্দে ছড়িয়ে পড়তে থাকে এই রোগ। ক্যান্সারের পেছনে অনেকগুলো কারণ কাজ করতে পারে। ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে আনার জন্যেও আপনি ব্যবহার করতে পারেন কিছু সাধারণ কৌশল।

    আমরা ভেবে থাকি ক্যান্সার হলো একটি মাত্র রোগ। কিন্তু এর সাথে জড়িয়ে থাকে একেবারে কোষীয় পর্যায়ের বিভিন্ন পরিবর্তন এবং এর পেছনে কাজ করে অনেক প্রভাবক। সূর্যালোক থেকে শুরু করে খাদ্যভ্যাস, শারীরিক সক্রিয়তা এবং ধূমপান অনেক কিছুই ক্যান্সারের ঝুঁকির পেছনে কাজ করে থাকে। তাহলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে কি করতে পারেন? অনুসরণ করতে পারেন জীবনযাপনের বেশ সহজ-সরল কিছু নিয়ম।

    ১) স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন

    নিজের বয়স, শারীরিক গঠন ও উচ্চতা অনুযায়ী একটি স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখার চেষ্টা করুন।

    ২) শরীর রাখুন সক্রিয়

    ব্যায়াম আপনার হৃৎপিণ্ডের জন্য ভালো বটে, কিন্তু তা ক্যান্সার রোধ করতেও সাহায্য করে। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিটের জন্য ব্যায়াম করতে পারলে ভালো।

    ৩) বেশী করে খান শাকসবজি ও ফলমূল

    শাকসবজি ও ফলমূলে আছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ এবং এরা বিশেষ করে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে কার্যকরী। বেশ কমদামেই পাওয়া যেতে পারে এসব খাবার।

    ৪) কমিয়ে আনুন চিনি ও ফ্যাট খাওয়া

    অতিরিক্ত ফ্যাট এবং চিনি কোনোটাই আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয় এবং এরা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

    ৫) পরিমিত পরিমাণে খান রেড মিট

    আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে এখনো বেশিরভাগ মানুষই যথেষ্ট পরিমাণে আমিষ খেতে পান না, এ কারণে এই উপদেশটি মূলত তাদের জন্য প্রযোজ্য যারা প্রয়োজনের চাইতে অতিরিক্ত রেড মিট খেয়ে থাকেন।

    ৬) অ্যালকোহল বর্জন করুন

    মুখ এবং গলার ক্যান্সারের জন্য দায়ী এই পদার্থটি। যদিও অ্যালকোহল পান বাংলাদেশে তেমন প্রচলিত নয় তারপরও সতর্ক থাকা ভালো।

    ৭) অল্প করে লবণ খাওয়ার অভ্যাস করুন

    খাবারে বেশী লবণ যোগ না করাই ভালো। এর পাশাপাশি প্যাকেটজাত খাবার বা ফাস্টফুড খাবার সময়েও বেশী লবণ খাওয়া হয়ে যাচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।

    ৮) সাপ্লিমেন্ট বা খাদ্যের বিকল্প খাওয়া বন্ধ করুন

    অনেকে ডায়েট করার সময়ে বিভিন্ন রকমের সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করে থাকেন না জেনে- না বুঝে। ডায়েট যদি করতেই হয় তবে শুধুমাত্র খাবারের ওপর নির্ভরশীল থাকুন এবং ডাক্তারের সাথে কথা বলে নিন।

    ৯) সম্ভব হলে বাচ্চাকে ব্রেস্ট ফিডিং করান

    ব্রেস্ট ফিডিং একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া যা শরীর ভালো রাখে এবং কিছু ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমায়। তাই ব্রেস্ট ফিডিং এর সুযোগ থাকলে তা ব্যবহার করাই ভালো।

    ১০) ক্যান্সার থেকে সেরে ওঠার সময়ে থাকুন সাবধান

    যারা ক্যান্সার থেকে সেরে উঠছেন তাদের বিশেষ কিছু নিয়মনীতি মেনে চলতে হয়।

    ১১) কড়া রৌদ্রের সময়ে ত্বক ঢেকে রাখুন যতটা সম্ভব

    অতিরিক্ত রোদে ত্বকের ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা থাকে। এ কারণে ত্বক যতটা সম্ভব ঢেকে রাখুন, সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন নিয়ম মতো, হ্যাট বা স্কার্ফ ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষ করে বাচ্চাদের ত্বক বেশী সংবেদনশীল থাকে তাই তাদের ব্যাপারে থাকুন বেশী সতর্ক।

    ১২) ধূমপান ছেড়ে দেবার চেষ্টা করুন

    ধূমপান সারা বিশ্বে বার্ষিক ২০ শতাংশ ক্যান্সার মৃত্যুর মূল কারণ। এ কারণে নিজে ধূমপানে আসক্ত থাকলে ছেড়ে দিন এবং অন্যদেরও ধূমপান বর্জনে অনুপ্রাণিত করুন।

    ১৩) সম্ভব হলে ভ্যাক্সিনেশনের আওতায় থাকুন

    কিছু কিছু ক্যান্সার ইনফেকশন থেকে হয় এবং এগুলো ভ্যাক্সিনের মাধ্যমে প্রতিরোধ করা সম্ভব। তাই এসব ভ্যাক্সিন সহজলভ্য হলে অবশ্যই ব্যবহার করুন।

    মূল: Alessandro R Demaio, IFLScience

    Professor Answered on June 22, 2015.
    Add Comment
  • RELATED QUESTIONS

  • POPULAR QUESTIONS

  • LATEST QUESTIONS

  • Your Answer

    By posting your answer, you agree to the privacy policy and terms of service.