ক্রিকেটে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি কীভাবে হিসেব করে?
ক্রিকেটে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি কীভাবে হিসেব করে?
Add Comment
ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি বা ডি/এল মেথড (ইংরেজি: Duckworth-Lewis method) ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে অত্যন্ত পরিচিত এবং জনপ্রিয় ক্রিকেটীয় পরিভাষা ও পদ্ধতি। সাধারণতঃ বৃষ্টিবিঘ্নিত কিংবা দিনের আলোকস্বল্পতাজনিত কারণে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বা টুয়েন্টি ২০ খেলায় ফলাফল আনয়ণকল্পে স্বচ্ছ এবং সঠিক পদ্ধতি হিসেবে রানকে ঘিরে পরবর্তীতে ব্যাটিং করা দলকে পুণরায় জয়ের জন্য লক্ষ্যমাত্রা প্রদান করা হয়। স্বাভাবিকভাবে খেলার পরিসমাপ্তি না হলে বা ফলাফল নির্ধারণে ব্যর্থ হলে এ পদ্ধতি অনুসরণপূর্বক প্রয়োগ করা হয়। ডি/এল মেথড বা ডার্কওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি ধারণাটির প্রবর্তক হচ্ছেন দুই ইংরেজ পরিসংখ্যানবিদ – ফ্রাঙ্ক ডাকওয়ার্থ এবং টনি লুইস। এখানে মূলত এক পক্ষ সুবিধা পায় আরেক পক্ষ সুবিধা হারায়। যেমন আপনি প্রথমে ব্যাট করে ২৫৪ রান করেছেন। আমার টার্গেট ২৫৫ রান। আমি ব্যাট করতে নেমে প্রতি ওভারে ৫ করে রান নিতে হবে। এই যায়গায় আমি যদি ৩৫ ওভার খেলে ৫ উইকেটে ১৭২ রান করি (রান রেট ৫.৬৭)মনে করেন ব্যাড লাইট অথবা খারাপ আবহাওয়ার কারণে খেলা বন্ধ হয়ে গেছে। তখন খেলাটা ডার্ক ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতি অনুসরণ করে চলবে। খেয়াল করুন তখনো আমার বাকী ৮৩ রান, উইকেট হাতে আছে ৫, ওভার ১৫ । এ অবস্থায় যদি খারাপ আবহাওয়া বা ব্যাড লাইটের কারণে খেলা ডার্ক ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে আসে সেখানে জয়ী ঘোষণা করা হবে আমাকে। কারণ আমার রান দরকার ছিল ওভার প্রতি ৫ সেই যায়গায় আমি নিচ্ছি ৫.৬৭ করে। আর উইকেটও আমার ঠিকভাবে আছে। এখন আমার দরকার ওভার প্রতি ৪ করে। কিন্তু এই ব্যবহারটা আপনার জন্য ভালো হবে না, কারণ আমার টপ অর্ডার এবং মিডল অর্ডারের প্রায় ব্যাটসম্যানই আউট হয়ে গেছে। এখন আমার আছে লো অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা। আর তাদের উপর কখনো ভরসা করা যাবে না। আমার ৮৩ রানের জন্য হয়তো তারা ৪০ রানেই আউট হয়ে যেতে পারতো। সেই যায়গায় অবশ্যই আপনি জিততে পারতেন। কিন্তু ডার্ক ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে আপনি আমার কাছে হেরে গেছেন।