ঘরে পোকামাকড়ের উপদ্রব থেকে কীভাবে রেহাই পেতে পারি?
বিভিন্ন সময়ে ঘরে পোকামাকড়ের উপদ্রব বেড়ে যায়। অনুগ্রহ করে জানাতে পারবেন কি এই পোকামাকড়ের উপদ্রব থেকে কীভাবে রেহাই পেতে পারি?
যদিও শীতকালে পোকামাকড়ের তেমন উপদ্রব থাকে না তবে গরমকালে অর্থাৎ বর্ষার ঠিক আগের মুহূর্তটাতে পোকামাকড়ের উপদ্রব অনেক বেশি বেড়ে যায়। আসুন জেনে নিই এই পোকামাকড়ের উপদ্রব থেকে কীভাবে রক্ষা পাওয়া যায়।
পোকামাকড়ের উপদ্রব থেকে রক্ষার উপায় :
– ঘরের কোণে অন্ধকার জায়গায় একটা পাত্রে সামান্য গরম পানিতে কর্পূর মিশিয়ে রেখে দিন। এতে মশার উপদ্রব কমে যাবে।
– বাগানে, বাড়ির আঙিনা বা ঘরে জলাধার থাকলে তাতে মাছ ছাড়ুন। মাছ মশার লার্ভা খেয়ে ফেলে। ফলে পানির কারণে মশার দৌরাত্ম্য বাড়বে না।
– বাথরুম বা রান্নাঘর – কোথাও পানি জমতে দেবেন না। ফুলদানীর পানিও একদিন পর পর পাল্টে ফেলুন। পুরোনো ফুলের পাতা, পাপড়ি বা ডাঁটি যেন পানিতে জমে পচে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখুন।
– রান্নাঘরের ডাস্টবিনের জায়গা, স্টোররুম, আলমারির পেছনের অন্ধকার জায়গা, খাটের নিচে, ঘরের কোনা ইত্যাদি জায়গাগুলো পরিষ্কার রাখুন। কারণ এসব জায়গায় মশা লুকিয়ে থাকে।
– সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত ঘরের দরজা ও জানালা বন্ধ রাখুন। এ সময়টাতেই ঘরে মশা ঢোকে বেশি।
– খবরের কাগজ, ওষুধের ফয়েল, কফ সিরাপের বোতল ইত্যাদি কাজ শেষের সাথে সাথে ফেলে দিন, জমিয়ে রাখবেন না। এতে পোকামাকড়ের উপদ্রব বেড়ে যায়।
– গাছে যাতে পোকামাকড় আক্রমণ করতে না পারে এজন্য সাবান-পানি প্রয়োগ করুন। এটা দারুণ কাজে দেবে।
– বিছানার তোষক বা ম্যাট্রেসের নিচে শুকনো নিমপাতা রাখুন। পিঁপড়া বা ছারপোকা বাসা বাঁধতে পারবে না।
– ঘরে বোলতা বা মৌমাছি ঢুকে পড়লে সেটার গায়ে হেয়ার স্প্রে করে দিন। এতে বোলতা বা মৌমাছির হুল অকেজো হয়ে যাবে। আর কামড়ে দিলে সাথে সাথে সেখানে টুথপেস্ট লাগান। ব্যথা কমে যাবে।
– পিঁপড়া ও পোকামাকড় তাড়াতে কাজে দেবে লবঙ্গ। চিনির বয়াম, আলমারির কাপড়ের ফাঁকে, বিছানার গদির কোনায় কিছু লবঙ্গ রেখে দিন। এতে পিঁপড়ার উপদ্রব কমে যাবে।
– পিঁপড়ার গর্তের মুখে পিপারমিন্ট অয়েলে ভেজানো তুলা রেখে দিন। পিঁপড়া কমে যাবে।
– ময়লা ফেলার জায়গায় বোরিক পাউডার ছিটিয়ে দিন। এতে মাছির উপদ্রব কমে যাবে।
– চিনির সাথে সমপরিমাণ বোরিক পাউডার মিশিয়ে ঘরের কোনায়, দেয়ালে ছড়িয়ে দিন। এতে তেলাপোকার অত্যাচার কমবে।
– প্রতিদিন ঘরের মেঝে পরিষ্কার করুন। ঘর মুছতে ফিনাইল বা অ্যান্টিসেপটিক লিকুইড ব্যবহার করুন। এতে পোকামাকড়ের আনাগোনা অনেকটাই কমে যাবে।
এছাড়া দেখুন :
পোকামাকড়ের উপদ্রব থেকে কাপড়চোপড় রক্ষা করার ৫টি দারুণ কৌশল :
শখের সকল কাপড়চোপড় ও প্রয়োজনীয় অনেক জিনিসপত্রের স্থান হয় আলমারি/ওয়ারড্রোবের মধ্যে। অনেকে নিজের জিনিসপত্র বেশ গুছিয়ে রাখতে পছন্দ করেন। আবার অনেকে ওয়ারড্রোবের ভেতর ঠেসে তুলে রাখেন কাপড় চোপড়। যাই হোক না কেন আলমারি/ওয়ারড্রোবের প্রয়োজনীয়তা কমে না আমাদের জীবনে। বিস্তারিত
পোকামাকড়ের উপদ্রব এড়াতে :
মশা, মাছি, পিঁপড়া তো বটেই, নানান অচেনা-অজানা পোকামাকড়ের আনাগোনাও দেখা যায় এ সময়ে। পোকামাকড় প্রতিরোধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিলে অনেকটা রেহাই পাওয়া যেতে পারে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং একটুখানি সতর্কতা অবলম্বন করে আপনার বাড়িকে করে তুলতে পারেন পোকামাকড়মুক্ত।