ঘামাচি প্রতিরোধে কী করা যেতে পারে?
ঘামাচি খুবই অসহ্যকর একটি বিষয়। এটি মূলত গরমের সময়েই সারা গায়ে বের হয়ে থাকে। আবার কোনো কোনো সময় মুখেও হয়ে থাকে। অসহ্য ধরনের চুলকায় এবং লালচে বর্ণ ধারণ করে। এই অসহ্যকর ঘামাচি প্রতিরোধে বিভিন্ন ট্যালকম পাউডারের পাশাপাশি কিছু উপায় অবলম্বন করতে পারেন।
যা যা করবেন :
– চন্দন বাটা ও গোলাপ জল মিশিয়ে পাতলা পেষ্ট তৈরি করে যে সকল স্থানে ঘামাচি উঠে সে সমস্ত স্থানে লাগাতে পারেন। এতে করে ঘামাচি কম হবে।
– তেল ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
– গোসল করবার ১ঘন্টা আগে এক চা চামচ খাবার সোডা ও এক কাপ গোলাপ জল পানিতে গুলে গায়ে লাগিয়ে তারপর গোসল করুন।
– অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীর জেল ঘামাচি আক্রান্ত স্থানে লাগালে ঘামাচির আক্রমণ কম হয়, কেননা এটি শরীরকে ঠান্ডা করে।
– পানিতে ভুট্টার আটা মিশিয়ে পাতলা পেষ্ট তৈরি করে ঘামাচি আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে ২০-৩০ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতেও ঘামাচি কমবে।
– প্রচুর পরিমাণে পানি খান। মিনারেল ওয়াটার ঘামাচি প্রতিরোধে সহায়তা করে।
– প্রতিবার গোসলের পর অন্তর্বাস পাল্টে নিন। কেননা এগুলো থেকেও ঘামাচি হতে পারে।
– টাইট ফিটিং কাপড় পরিধান না করে গরমে যতটা সম্ভব ঢিলেঢালা আরামদায়ক পোশাক পরিধান করুন।
– গোসল করবার আগে ফিটকিরি পানিতে মিশিয়ে নিয়ে গায়ে লাগালেও ঘামাচি দূর হয়।
– প্রতিদিন একাধিক বার গোসল করুন।
– রাত্রে ঘুমাবার সময় ঘরে পর্যাপ্ত পরিমাণে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখুন, জানালা দরজা একদম বন্ধ করে ঘুমাবেন না। সম্ভব হলে দু-এক রাত শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে কাটান।
– তেজপাতা সারারাত গোলাপ জলে ভিজিয়ে রেখে সেই পানি দিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগালে ঘামাচির প্রবণতা কমে যায়।
– ঘামাচি প্রতিরোধে লাউ বেশ উপকারী একটি তরকারি। ঘামাচির যন্ত্রণা কমাতে লাউ আগুনে ঝলসে নিয়ে রস করে খেলে কাজে দেয়।
– গোসলের পর গা-হাত-পা ঘসে ঘসে মুছবেন না, এতে করে ঘামাচির যন্ত্রণা যেমন বাড়বে, তেমনি ঘামাচিও বাড়বে।
– যদি মুখে ঘামাচির সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে কচি লাউ তুলসি পাতা ও আতপ চালের গুড়ো এক সঙ্গে বেটে পেষ্ট তৈরি করে মুখে লাগালে উপকার পাওয়া যায়। ধন্যবাদ