চরম ভীতিকর সত্য তথ্য কোনগুলো?
চরম ভীতিকর সত্য তথ্য কোনগুলো?
পৃথিবীর ফুসফুসখ্যাত আমাজন অরণ্যের ১৭% ইতিমধ্যে ধ্বংস হয়ে গেছে। বিজ্ঞানীদের মতে এই ধ্বংসের পরিমাণ ২০%-২৫% এ পৌঁছলে আমাজন অরণ্য এমন এক পর্যায়ে (Tipping Point) চলে যাবে যখন আমাজনকে ধ্বংস করতে আর কোনো মানুষের প্রয়োজন হবে না—এটি নিজে থেকেই ধ্বংস হতে শুরু করবে। তো এই যখন অবস্থা তখন ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি জেইর বলসোনারো আমাজনকে ধ্বংস করতে তাঁর প্রশাসনকে সবরকম ব্যবহার করছেন।
আমাজনের ভিতর খনি খন
ব্রাজিলীয় অংশের আমাজন সংরক্ষণে যে আইন বিদ্যমান তার প্রয়োগকে সীমিত করেছেন এই রাষ্ট্রপতি। পরিবেশ ধ্বংসের জন্য যাঁরা দায়ী, তাঁদেরকেই তিনি পরিবেশ রক্ষার পদে নিয়োজিত করেছেন। বনউজারকারীদের আরো বেশি করে বনউজারে উৎসাহিত করছে তাঁর প্রশাসন। তাঁর মৌন সম্মতি পেয়ে গো-খামারি, আখচাষী, অবৈধ খনিজ সন্ধানী, সয়াবিনচাষী, পাচারকারী প্রভৃতির দুষ্টচক্র আমাজন উজারে মহোৎসবে মেতেছে। দেশোন্নয়ন ও অরণ্যের আদিবাসীদের জীবনোন্নয়নের নামে এই নিষ্ঠুর রাষ্ট্রপতি আমাজনকে উন্মুক্ত করে দিচ্ছেন যাবতীয় বাণিজ্যিক কার্যক্রমের জন্য।
আমাজন অরণ্যে সর্বগ্রাসী দাবানল
‘কাট এবং পোড়’ (Slash & Burn) পদ্ধতির মাধ্যমে যেসব লোলুপ ব্যক্তি আমাজনকে পুড়ে ছারখার করছে তাদেরকে পরিবেশ আইনের আওতায় না এনে বলসোনারো প্রশাসন বরং পরোক্ষভাবে এ কাজে প্ররোচিত করছে। এমনকি গত বছর আমাজনে নজিরবিহীন দাবানল দেখা দিলেও এই ব্যক্তির প্রশাসন দাবানল দমনে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। অবশ্য আন্তর্জাতিক চাপের কারণে পরবর্তীতে দাবানল দমনে সেনাবাহিনী পাঠাতে বাধ্য হয়েছিলেন।
এই গোঁয়ার ও কূপমণ্ডুক রাষ্ট্রপতি যতদিন না অপসারিত হচ্ছেন বা বিদায় নিচ্ছেন—বহু চেনা-অচেনা প্রজাতির আবাসস্থল জীববৈচিত্র্যের আধার জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী আমাজন অরণ্যের ভবিষ্যত অনিশ্চিত। সাম্প্রতিক বৈশ্বিক সমস্যার প্রেক্ষাপটে এগুলোর চেয়ে চরম ভীতিকর বাস্তব সত্য তথ্য আর কিছু নেই।