চোখব্যথা থেকে মুক্তি পাব কীভাবে?
চোখব্যথা থেকে মুক্তি পাব কীভাবে?
চোখে ব্যথা হলে প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে নিচে উল্লেখিত পন্থাগুলো অবলম্বন করলে সহজেই নিরাময় পাওয়া যায়।
-কনজাংটাইভের প্রসারিত রক্তনালীগুলোর কারণে চোখ লাল হয়। ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিয়ে চোখের যন্ত্রনাদায়ক নালীগুলো শিথিল করার মাধ্যমে লালভাব দূর করা যেতে পারে।
-পরিষ্কার কাপড়ে বরফের টুকরা নিয়ে আক্রান্ত চোখে ব্যবহার করলেও উপকার পাওয়া যায়।
-কান্নাকাটি করতে পারেন। চোখের পানি হচ্ছে হালকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট। চোখের পানি ব্যকটেরিয়ার ধুয়ে ফেলতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি চোখ আদ্র রাখে, ফলে চোখে ঘর্ষণের ফলে তৈরি ব্যথা কম হয়।
-সমপরিমাণ পানি ও অ্যাপল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে তুলার বলের সাহায্যে চোখের পাতায় মাখাতে পারেন। অ্যাপল সাইডার ভিনেগারের মাইক্রোবায়াল উপাদান ব্যকটেরিয়া ধ্বংস করতে সহায়ক।
-বরফশীতল পানিতে দু-তিন জোড়া চামচ ডুবিয়ে, চামচ চোখের উপর ধরুন। চামচের ঠাণ্ডাভাব ফুরিয়ে গেলে চামচ পরিবর্তন করে নিন।
-রূপচর্চার পাশাপাশি চোখের ব্যথা দূর করে শসা।
-গ্রিন টি’য়ের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল উপাদান চোখ ব্যথার সবচাইতে যন্ত্রনাদায়ক উপসর্গগুলো থেকে মুক্তি দেয়।
-এককাপ গরম পানিতে গ্রিন টি ব্যাগ ডুবিয়ে রাখুন যতক্ষণ না গরম পানি ঘরের তাপমাত্রায় আসে। পরে কাপটি কয়েক মিনিট ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে নিন। তারপর টি ব্যাগ থেকে বাড়তি পানি বের করে নিয়ে ব্যাগটি বন্ধ চোখের উপর রাখুন।
-অ্যালোভেরা জেল চোখব্যথার উপসর্গ দূর করতে কার্যকর। পাতা থেকে জেল বের করে তা কয়েক মিনিট ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে চোখের পাতায় মেখে নিন।
-তুলার বল দিয়ে বন্ধ চোখে গোলাপ জল মাখানোর মাধ্যমে চোখব্যথার উপসর্গ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
-দুধের শীতলকারী উপাদান আর মধু একটি সুপরিচিত অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল এজেন্ট। এ দুটি একত্রে মিশিয়ে ব্যবহার করলে ব্যথা ও প্রদাহ কমে তাৎক্ষনিকভাবে।
-এক টেবিল-চামচ কুসুম গরম দুধে এক ফোঁটা মধু মিশিয়ে ড্রপারের সাহায্যে চোখে ব্যবহার করতে পারেন।