জীবনকে পাল্টানোর জন্য কিছু উপদেশ দেবেন কি?
জীবনকে পাল্টানোর জন্য কিছু উপদেশ দেবেন কি?
💥আপনি কি কখনো মনে করেছেন, যে আপনার জীবনের কোনো সুযোগ হারিয়ে ফেলেছেন?
💥আপনি কি ভাবেছেন! যে আপনার জন্য লাস্ট চান্সটা ও আর নেই?
চাইলে ভিডিওটি দেখতে পারেন বা নিচের আর্টিকেল টা পড়ে নিন!
তারমানে, আপনি আশা হারানোর কাছাকাছি পৌঁছেছেন? কিন্তু এখনো হারিয়ে ফেলেন নাই।
আপনি কি ভাবেছেন! পৃথিবীতে এমন লাস্ট চান্স বা সুযোগ আপনি একাই হারিয়েছেন!
যদি উত্তর হ্যাঁ হয়, তাহলে আমি বলবো – আপনি একা নন। আমরা সবাই কখনো না কখনো এমন অবস্থায় পড়ি। কিন্তু আমরা কি জানি যে লাস্ট চান্স বলে কিছু নেই?
আমরা কি জানি -যে আমাদের জীবনে প্রতিদিনই নতুন করে শুরু করার একটি সুযোগ আছে?
আমরা কি জানি যে আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত আমাদের কে কিছু শিখাতে চায়?
আজ আমি আপনাদের সাথে একটি বিষয় শেয়ার করবো, যা আমার জীবনে অনেক বদল আনতে সাহায্য করছে বা এখনো করছে।
এই বিষয়টি হলো, যখন থেকে আমি বিশ্বাস করতে শুরু করলাম “লাস্ট চান্স বলে কিছু নেই”। হয়তো কথাটা একটু জটিল মনে হতে পারে, আমি বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করছি।
চান্স শব্দটি ব্যবহারই হয় আপেক্ষিক অর্থে, মনে করুন আপনি কোন একটা পরীক্ষা বা কাজে বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন। শেষ বারের মত আপনাকে ৩ বার সুযোগ দেওয়া হয়েছে পরিক্ষায় পাশ করতে বা কাজে সফল হবার জন্য।
কিন্তু ওই ৩ বার চেষ্টার পর ও আপনি ব্যর্থ হলেন। তারমানে আপনি ওখানে আর কখনো সফল হবেন না এমন নয়।
কারণ মাথায় রাখবেন, এই বারবার ব্যর্থতা থেকে আপনি যে শিক্ষা বা অবিজ্ঞতা পেয়েছেন সেটা অন্যদের থেকেও আপনাকে দৃঢ় করবে।
আপনার জীবনের বাস্তব অবিজ্ঞতা থেকে চিন্তা করে দেখুন, ওই পরীক্ষা বা কাজের জন্য আপনি আবার সুযোগ পেয়েছেন বা পাবেন।
আর আপনার শিক্ষা বা অবিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে খুব সহজেই আপনি সফল হবেন। তার মানে, লাস্ট চান্স বলে কিছু নেই। আর আপনি যেটা লাস্ট চান্স মনে করছেন -সেটা আসলে সেকেন্ড লাস্ট চান্স বলা যেতে পারে।
চাইলে ভিডিওটি দেখতে পারেন বা নিচের আর্টিকেল টা পড়ে নিন!
মনে করুন, অনেক বড় একটা কোম্পানী হঠাৎ করে ব্যবসায় লোকসান করে বসলো।
এক দুপুরে সেই কোম্পানীর কর্মচারীরা বাইরের ক্যান্টিনে লাঞ্চ করে ফেরার সময় অফিসের প্রবেশমুখে একটি নোটিশ দেখতে পেল।
নোটিশে লেখা ছিল,
‘আমাদের কোম্পানীর লোকসানের জন্য যে ব্যক্তিটি দায়ী, সে গতকাল মারা গেছে।
সেমিনার রুমে একটি কফিনে তার লাশ রাখা হয়েছে। যে কেউ তা দেখতে চাইলে আমন্ত্রিত।’
একজন সহকর্মীর মত্যুর খবর শুনে প্রথমে কর্মচারীরা দুঃখ পেল।
তবে এরপর তারা কৌতুহলী হয়ে উঠলো এই ভেবে যে, আসলে কে হতে পারে সেই ব্যক্তি।
তারা সবাই সেমিনার রুমে এসে একত্রিত হল, সবাই ভাবতে লাগলো, ’আসলে কে সেই লোক যে আমাদের সাফল্যের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল?
তবে সে যেই হোক, এখন সে আর বেঁচে নেই।
একে একে তারা যখন কফিনের কাছে গেল এবং ভেতরে তাকালো – হঠাৎ তারা কেমন যেন বাকশূন্য হয়ে গেল, হতভম্ভ হয়ে গেল। যেন তাদের খুব আপন কারো লাশ সেখানে রাখা ছিল।
কফিনের ভেতর আসলে রাখা ছিল একটা আয়না।
যে কফিনের ভেতরে তাকিয়েছিলো, সে তার নিজের চেহারাই দেখতে পাচ্ছিলো।
আয়নার একপাশে একটা কাগজে লেখা ছিল, গোটা পৃথিবীতে তোমার সাফল্যের পথে বাধা দিতে সক্ষম শুধুমাত্র একজনই আছে, আর সে হচ্ছো ‘তুমি’ নিজে।
তুমিই সেই একমাত্র ব্যক্তি, যে তোমার জীবনে পরিবর্তন আনতে পারে, তোমাকে সুখী করতে পারে, তোমাকে সাহায্য করতে পারো,
সাফল্যের দিকে অগ্রসার হতে।
তোমার জীবন -তখন বদলে যায় না, যখন তোমার অফিসের বস বদলায়, যখন তোমার অভিভাবক বদলায়, তোমার বন্ধুরা বদলায়,
তোমার জীবন তখনই বদলায় -যখন তুমি নিজে বদলাও।
তোমার সক্ষমতা সম্পর্কে তোমার নিজের বিশ্বাসের সীমাটা যখন তুমি অতিক্রম করতে পারো,
শুধু তখনই তোমার জীবন বদলায়, পূরন হয় জীবনের লক্ষ্য গুলো।
নিজের দৃঢ় মনোবল নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে, এগিয়ে যেতে হবে ইচ্ছাশক্তি নিয়ে।
আর চান্স বা সুযোগ সেটাতো আসবেই।