জীবনকে পাল্টানোর জন্য দশটি উপদেশ দেবেন কি?
জীবনকে পাল্টানোর জন্য দশটি উপদেশ দেবেন কি?
১। বই পড়া। প্রতিদিন ৩০ পৃষ্ঠা। তাহলে সপ্তাহে ১ টা, মাসে ৪ টা, বছরে ৫০ টা বই শেষ হবে। মানে ছোটোখাটো একটা পিএচডি হইয়ে গেলো। আপনি অন্য সবার চেয়ে এগিয়ে থাকবেন।
২। লাইফ-লং লার্নিং। কোর্স করা। কোর্সেরা, টেন মিনিট স্কুল, বহুব্রীহি, Crash Course, Khan Academy, FreeCodeCamp, ইউটিউব, ইন্টারনেট থেকে আপনার প্রয়োজনীয় যেকোনো একটা কোর্স প্রতি মাসে করতে হবে। কোর্স করার জন্য প্রতিদিন ৩০ মিনিট সময় দিলেই হবে। আমি প্রতি সপ্তাহে ১ টা করে কোর্স করি কোর্সেরা থেকে। সাথে সাথে নতুন যা শিখি তা নোট করি।
৩। এক্সারসাইজ এবং মেডিটেশন করা। প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ২০ মিনিট। সকালে, বিকালে অথবা রাতে ঘুমানোর পূর্বে। ব্যায়াম করার সময় ডিপ ব্রিদিং কিংবা খোলা জায়গায় বসে চোঁখ বন্ধ করে শুধু নিরবতা পালন করবেন। তাহলে এক্সারসাইজ এবং মেডিটেশন একসাথে হয়ে যাবে।
৪। প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ২ লিটার পানি খেতে হবেই। আমার একটা ওয়াটার পট আছে যেটাতে ২ লিটার পানি রাখা যায়। সারাদিনের টার্গেট থাকে সেই পানির বোতলের পানি শেষ করা।
৫। প্রতিদিন রাত ১১-৬ পর্যন্ত ঘুমাতে হবে। এই একটা অভ্যাস আপনার জীবন বদলে দিবে। ঘুম আমাদের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। ঘুমের জন্য দায়ী হরমোন মেলাটোনিন রাত ৯ থেকে নিঃসরণ হওয়া শুরু হয়, রাত ১২ টায় মেলাটোনিন সর্বোচ্চ মাত্রায় নিসঃরিত হয় এবং রাত ৪ টার পর থেকে মেলাটোনিন নিঃসরণ বন্ধ হয়ে যায়।
৬। লেখালেখি করা প্রতিদিন ২০ মিনিট। মনোবিজ্ঞানীরা বলে, যারা নিয়মিত ২০ মিনিট লেখালেখি করে তারা জীবনে অন্যদের থেকে বেশি সুখী থাকে এবং বেশিদিন বাঁচে।
৭। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর পূর্বে পরবর্তী দিনের টু-ডু লিস্ট তৈরি করে ঘুমাতে যাওয়া। সফলতা নির্ভর করে আপনি আজকের দিনটা কতটা ভালোভাবে অতিবাহিত করেছেন তার উপর।
৮। সকল প্রকার নেশা জাতীয় দ্রব্য পরিত্যাগ করা। এতে আপনি সর্বদা সুস্থ থাকতে পারবেন এবং সবসময় আপনার মন ভালো থাকবে। আপনার আয়ু বৃদ্ধি পাবে এবং আশেপাশের সবকিছু সুন্দর লাগবে। একজন প্রকৃত সুখী মানুষ হিসেবে বাঁচতে পারবেন।
৯। ইংরেজিতে খুব বেশি জোর দিতে হবে। কারণ ভাল ভাল বইগুলোর বেশিরভাগই ইংরেজিতে লিখা হচ্ছে নয়তো ইংরেজিতে অনূদিত হচ্ছে। কোন বই যদি ইংরেজিতে লেখা থাকে তবে পড়া শুরু করে দেন। যে শব্দ বুঝতে পারছেন না সেটা ডিকশনারি থেকে দেখে নিবেন অথবা ইন্টারনেট বা অন্য কারো সাহায্য নিবেন। এভাবে যদি এক পৃষ্ঠা পড়তে একদিন লাগে তবে লাগুক। আপনি পড়া চালিয়ে যান।
১০। যখন কোনো কাজের মাঝে মনে হবে কেমন যেন আগ্রহ হারিয়ে যাচ্ছে, তখন জোর করে আরো কিছুক্ষণ কাজ করার চেষ্টা করবেন। এভাবেই আস্তে আস্তে ইচ্ছাশক্তির অভ্যাস হয়ে হয়ে যাবে। যখন মোটিভেশনের প্রয়োজন হবে তখন যেকোনো কঠিন কাজ শুরু করে দিন, কাজ করতেই করতেই মোটিভেশন তৈরি হয়ে যাবে।