ছোট বেলার পড়া একটি বাক্যের সাথে আমরা সবাই পরিচিত। বাক্যটি হচ্ছে “ছোট ছোট বালু কণা বিন্দু বিন্দু জল, গড়ে তোলে মহাদেশ সাগর অতল”। ঠিক তেমনি, আমাদের জীবনের ছোট ছোট পরিবর্তন সেটা ভালো কিংবা মন্দ যাই হোক না কেন একটা সময়ে জীবনে অনেক বড় প্রভাব ফেলে।

এই ছোট ছোট পরিবর্তনকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করতে পারলে জীবনে ইতিবাচক কিছু করা সম্ভব। তাই আসুন জীবনকে পাল্টানোর জন্য দশটি কার্যকর উপায় জেনে নেই।

১। সূর্যের সাথে প্রতিযোগিতা করে ঘুম থেকে উঠুন। পূর্ব আকাশে সূর্য ওঠার আগেই আপনাকে বিছানা ছাড়তে হবে।

২। সময়ের কাজ সময়ে করুন এবং টাইম ম্যানেজমেন্টে নিজেকে দক্ষ করে তুলুন। সময়কে সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে পারলে আলাদীনের যাদুর চেরাগের থেকে বেশি শক্তিশালী হবে।

৩। কোনো মানুষের জন্যে নিজের ভবিষ্যতকে ঝুঁকির মধ্যে রাখবেন না, ভবিষ্যত অন্ধকার হলে কিন্তু সেই মানুষকেও খুঁজে পাবেন না।

৪। শএু দুই ধরনের। সামনের শএু এবং পিছনের শএু। সামনের শএুর চেয়ে পিছনের শএুকে বেশি গুরত্ব দিতে হবে। কারণ সামনে দিয়ে ক্ষতি করলে আপনি দেখবেন কিন্তু পিছন দিয়ে ক্ষতি করলে তা দেখতে পাবেন না।

৫। নিজেকে তর্কে জড়াবেন না। কেউ যদি জোড় করে আপনাকে তর্কের মধ্যে জড়িয়ে ফেলে তবে তাকে জিততে দিন। কেননা তর্কের মাধ্যমে কেউই জিততে পারে না।

৬। সোশাল মিডিয়া ব্যবহার করা কমিয়ে দিন। ফেসবুক বন্ধুর সংখ্যা ৮০/৯০ তে নামিয়ে আনুন। অনেকগুলো সোশাল মিডিয়া চালালে ২/১টি রেখে বাকিগুলো ডিলিট করে দিন।

৭। ভুল করলে sorry বলুন, কোনো কাজ ভালো লাগলে প্রশংসা করুন। কারো সাথে কোনো বিষয় নিয়ে ঝামেলা হলে শোনা কথায় বিশ্বাস না করে সরাসরি সেই মানুষের সাথে কথা বলুন।

৮। বন্ধুর প্রশংসা অথবা শত্রুর সমালোচনা এই দুইটা বিষয় মাথায় নিবেন না। কেননা অনেক সময় আপনি খুশী হবেন এই ভেবে বন্ধু প্রশংসা করতে পারে এবং আপনি রাগান্বিত হবেন এই ভেবে শত্রু সমালোচনা করতে পারে। তাই এই দুই বিষয় মুল্যহীন।

৯। নাটক সিনেমা থেকে সস্তা বিনোদন না নিয়ে বই পড়ুন। গনহারে সকল বই না পরে যেই বইগুলো আপনার মানসিকতার পরিবর্তন করতে পারে সেগুলো পড়ুন।

১০। টাকা পয়সা নিয়ে সব সময় ইতিবাচক চিন্তা করুন। টাকা খরচের আগে জমানোর চেষ্টা করুন এবং জমানো টাকা নিজের কাছে না রেখে বিনিয়োগের মধ্যে রাখুন।