জীবনের উদ্দেশ্য কী ?
বেশ জটিল একটা প্রশ্ন!!! প্রশ্নের উত্তর অনেকেই দিয়েছেন বেশ ভালো উত্তর দিয়েছেন। জানিনা আমার দেয়া উত্তর টায় আপনি জীবনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে কতটুকু জানতে পারবেন ।
পৃথিবীতে মানুষ সবচেয়ে দুর্বল জীব হলেও বুদ্ধির দিক দিয়ে সবচেয়ে উন্নত । আর পৃথিবীর বুকে আমার দেখা সবচেয়ে হিংস্রতর জীব হলো নেকড়ে। শিকারের দিক থেকে হিংস্র হলেও মনের দিক থেকে এরা বর্তমান যুগের মানুষের চাইতেও বেশি উত্তম বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে এটা বিশ্বাস করি।
নেকড়ে দলবদ্ধ ভাবে বসবাস করে। আর বর্তমান যুগের মানুষের অবস্থা এমন যে আপন রক্তের ভাই – ভাই কে আর বোন – বোনকে নিজ স্বার্থের জন্য সহ্য করতে পারে না।
পুরুষ আর স্ত্রী নেকড়ে মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত একে অপরের প্রতি বিশ্বস্ত। অপরদিকে বর্তমান যুগের নারী-পুরুষ গুলো পরকীয়ার সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে।
একটা বয়স্ক নেকড়ে কে দলের তরুণ নেকড়ে গুলো বোঝা মনে করে না। তরুণ নেকড়ে গুলো বয়স্ক নেকড়ে গুলোর জন্য খাওয়ার ব্যবস্থা করে । অপরদিকে মানুষ কি করে বৃদ্ধ পিতা-মাতা কে বোঝা মনে করে। অনেকেই আবার পিতা-মাতা কে বৃদ্ধ বয়সে বাড়ি থেকে বের করে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দেয়।
আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি যে আমরা মানুষরা আজ চতুষ্পদ জানোয়ারের চেয়েও বেশি নিকৃষ্ট হয়ে গেছি।
তাই এই অসুস্থ মানব সমাজ ব্যবস্থায় থেকে আপনি আপনার জীবনের মূল উদ্দেশ্য কে সঠিক ভাবে উপলব্ধি করতে পারবেন না।আপনাকে এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
জীব হলো সৃষ্টি আর প্রত্যেকটা সৃষ্ট জীবের প্রথম উদ্দেশ্য হলো সৃষ্টিকর্তার মাধ্যম অর্থাৎ পিতা-মাতা কে সম্মান করা আর বৃদ্ধ বয়সে তাদের লালন পালন করা ঠিক সেই ভাবে, যেই ভাবে পিতা-মাতা শিশু বয়সে তার সন্তানদের লালন পালন করে থাকেন।
স্বামী-স্ত্রী বিপদে আপদে সুখে দুঃখে একে অপরের পাশে থাকা ।
কোন মানুষ বিপদে পড়লে সামর্থ্য অনুযায়ী সাহায্য করা ।
সর্বশেষ সৃষ্টিকর্তার আনুগত্য প্রকাশ করা।
কারণ জীবন আমাদের আদিকাল থেকেই এই শিক্ষা দিয়ে আসছে যে আমার কেউই সয়ংসম্পূর্ণ না । আমরা সবাই একে অপরের উপর আত্মনির্ভরশীল। বর্তমান যুগের নারী-পুরুষ গুলোর মধ্যে আত্মবিশ্বাস আর আত্মনির্ভরশীল তার বড্ড অভাব ,তাইত তারা তাদের জীবনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে উদাসীন হয়ে একাকী জীবন যাপন করছে।
ধন্যবাদ