জীবনের কঠিন সত্যিগুলি কী কী?
জীবনের কঠিন সত্যিগুলি কী কী?
জীবনের সবচেয়ে কঠিন সত্য হলো, এ জীবন একদিন শেষ হবে। মানে মৃত্যু। প্রতিদিন মানুষ সহ সকল পশু পাখি, গাছপালা, এমনকি জড় পদার্থও একটু একটু করে নি:শেষ হতে থাকে। কেউ আগে মারা যাবে, কেউ পরে।
এই মৃত্যুর ভয়ে মানুষ ধর্ম কর্ম পালন করে। মানুষ ভাবে মৃত্যুর পরে আরেক জীবন আছে। তাই মানুষ ভয়ে থাকে সব সময়।
এই ভয়ের কারনেই মূলত মানুষ ধর্মভীরু ও অনেক ক্ষেত্রে ধর্মান্ধ হয়ে যায়। ওরে বাবা, ধর্মের ব্যাপার, চুপ থাকি। তা না হলে কবরে শাস্তি দিবে, আখিরাতে আগুনে ফেলে শাস্তি দিবে। এই ভয়ে কলিজা শুকিয়ে যায়।
মুসলিম ছাড়াও খ্রিষ্টান ও হিন্দুরাও মৃত্যুর পরের জীবনে বিশ্বাসী। তাই তারাও প্রায় একই ধারনা রাখে। মরলে কর্মের সাজা পেতে হবে। এই ভয় তারাও করে।
ধর্মকে যদি একটু পাশে রেখে বিজ্ঞানের কথায় আসি, তবে আসল কথা হচ্ছে, মানুষ সহ অন্য সকল প্রানী যখন মারা যায় তখনই শেষ। রুহ বা আত্মা বলে যে কিছু আছে সেটা সত্যি না বা এর কোনো অস্তিত্ব নেই।
বিবর্তনের কারনে মানুষ হনুমান থেকে মানুষ হয়। এক সময় বিভিন্ন মানব সভ্যতা বা হিউম্যান সিভিলাইজেশনের মাধ্যমে সামাজিক প্রানী হয়।
অন্য আর দশটি প্রানী যেমন, বাঘ, ভাল্লুক, কুকুর, বিড়ালের মতোই মানুষ একটি প্রানী, কোনো ভিন্ন কিছু না, এটাই মানুষ মানতে পারে না।
বিবর্তনবাদে বিশ্বাসী ব্যাক্তিদের তাই ধার্মিক লোকদের কাছে শুনতে হয় গালিগালাজ। তুই নাস্তিক, তুই বিধর্মী, এসব গালাগালি করা ছাড়া মূল বক্তব্যের বিপক্ষে কিছুই বলতে পারে না। কারন বলার কিছু থাকে না।
জীবনের কঠিন সত্য হচ্ছে মৃত্যু, এবং আরেকটি হচ্ছে বিবর্তনের মাধ্যমেই মানুষ হনুমান জাতীয় এক প্রানীর থেকে মানুষ হয়েছে। বর্তমানের হনুমানগুলোও বিবর্তনের মাধ্যমে হনুমান হয়েছে। মানুষ ও বর্তমানের হনুমান, শিম্পাঞ্জী সবগুলোই বিশেষ এক হনুমান জাতীয় প্রানীর দুটি প্রজাতি।
এই কঠিন সত্যটা মেনে নিতে অনেক কষ্ট হয় সবার।