জীবনে পড়াশুনো করা এত গুরুত্বপূর্ণ কেন?
জীবনে পড়াশুনো করা এত গুরুত্বপূর্ণ কেন?
প্রায় ৪০০০ বছর আগে কেউ একজন দুর্ঘটনাবশত টিনের সাথে তামা মিশিয়ে সর্বপ্রথম ব্রোঞ্জ তৈরি করেছিল।
ব্রোঞ্জ ছিল সেই সময়ের যুগান্তকারী আবিষ্কার। খুব তাড়াতাড়ি এটি যুদ্ধের প্রধান হাতিয়ার হয়ে ওঠে।
ব্রোঞ্জের তৈরি অস্ত্র ব্যবহার করায় ফারাওরা ছিল অপ্রতিরোধ্য৷
আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে ইতিহাসে ফিরে যাই৷
জীবনে পড়াশোনা করা এত গুরুত্বপূর্ণ কেন?
মিশরীয় সেনাদের প্রতিরোধ শুধুমাত্র অন্য সেনারাই করতে পারত যাদের কাছে ব্রোঞ্জের অস্ত্র ছিল।
যেহেতু অন্য সৈন্যরাও ব্রোঞ্জ ব্যবহার শুরু করেছিল, তাই টিন ও দস্তার অভাব পড়েছিল।
নিজেদেরকে সুরক্ষিত রাখতে মানুষ লোহার তৈরি অস্ত্র ব্যবহার শুরু করেছিল৷
লোহা গলানোই ছিল সেই যুগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞান৷ কিন্তু লোহা গলানো সহজ ছিল না৷ লোহাকে উচ্চ তাপমাত্রায় গলাতে মানুষ শুধু কয়লা পোড়াত।
এটা ছিল একটা সিক্রেট৷
যুগের পর যুগ ধরে লোহাই ছিল যুদ্ধজয়ের হাতিয়ার। এমনকি ব্রোঞ্জের তৈরি অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত সৈন্যরাও লোহার তৈরি হালকা ও শক্ত অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত সৈন্যদের কাছে হার মেনেছে৷
প্রস্তর যুগের আগে থেকেই জ্ঞান হয়ে ওঠে প্রধান সম্পদ৷
পৃথিবী যত এগিয়েছে ততই জ্ঞানের আবশ্যকতা বেড়েছে৷
আজ আমরা ডিজিটাল যুগে বাস করছি৷ জ্ঞান ছাড়া প্রতি পদক্ষেপ অচল৷ তাহলে, পড়াশোনা কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?
- কৃষি বিপ্লবের সময় সম্পদ প্রকৃতি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল৷
- শিল্প বিপ্লবের সময় সম্পদ মেশিন থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল।
- ডিজিটাল যুগের সম্পদ হলো জ্ঞান ও তথ্য৷